তারেকুর রহমান: কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা মানুষের কাছে আরেক আকর্ষন ইনানী সী পার্ল ওয়াটার পার্ক। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এই ওয়াটার পার্কে লেগেই আছে পর্যটকদের ভিড়। অনেকেই সমুদ্রস্নানকে ঝুঁকি মনে করে এই ওয়াটার পার্কে ঝাঁপ দিচ্ছেন।
ঈদের পর থেকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার পর্যটক গোসল ও সাঁতারকাটার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ইনানী সী পার্ল ওয়াটার পার্কে।
বৃহস্পতিবারও (১৪ জুলাই) সী পার্ল ওয়াটার পার্কে পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। কেউ একা একা, কেউ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে দল বেঁধে, কেউ বা পরিবার পরিজন নিয়ে নীল জলে গা ভিজিয়ে আনন্দে মেতেছেন।
ইনানীর রয়্যাল টিউলিপ রিসোর্ট সংলগ্ন এই পার্কটি পর্যটননগরী কক্সবাজারের প্রথম ওয়াটার পার্ক। ৯ একর জায়গা নিয়ে এটি তৈরি হয়েছে। বিশাল এই পার্কে আছে হরেক রকমের রাইডস- উইন্ড স্টর্ম, মাল্টি ল্যান্ড, কামি কাযি বা বডি স্লাইড, অ্যাকুয়া লুপ, ফ্লোট স্লাইড, থান্ডার বোউল নামের রাইডস ইত্যাদি। এসবের মাধ্যমে সুড়ুত করে জলে ভিজতে ভিজতে গড়িয়ে পড়ার মজায় মগ্ন থাকেন রাইডাররা।
সী পার্ল ওয়াটার পার্কে বাচ্চাদের বিশেষ পছন্দ ফান পুল এবং রেইন ড্যান্স। রেইন ড্যান্সে পানির কৃত্রিম তালে তালে নাচে শিশু কিশোররা।
কুমিল্লা থেকে আসা ৭ বন্ধু ওয়াটার পার্কে গোসল করতে এলেন বৃহস্পতিবার। তাদের একজন সাইফুর উদ্দিন বলেন, ‘আগে বেশ কয়েকবার কক্সবাজার আসা হলেও সী পার্ল ওয়াটার পার্কে আসা হয়নি। এবার ঈদে কক্সবাজার ভ্রমণের পরিকল্পনায় ওয়াটার পার্কে গোসলের ব্যাপারটা প্রাধান্যে রেখেছিলাম। গাড়ি থেকে নেমে হোটেলে বুকিং করার পর পরই ওয়াটার পার্কে চলে এলাম। বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটছি, পানিতে লাফালাফি করছি। সবমিলিয়ে অনেক মজা করছি আমরা।’
চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে সপরিবারে আসা জমির ওসমান বলেন, ‘গত রমজানের ঈদে ইনানী বিচ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরে গেলাম অথচ বিচের সাথে লাগোয়া ওয়াটার পার্কে এলাম না। এটা আমাদের মিস্ ছিল। এবার ভাবছিলাম সমুদ্রসৈকতের চেয়ে এই ওয়াটার পার্কে বেশি সময় দেবো। তাই পরিবারের সদসদের নিয়ে মনের আনন্দে চলে এলাম এখানে।’
সী পার্ল ওয়াটার পার্কের এক্সিকিউটিভ অব সেলস্ (সেলস্ অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. সরওয়ার বলেন, ‘ঈদের পরের দিন ১৬ শ থেকে ২২ শ গেস্ট আমাদের ওয়াটার পার্কে আসেন। এখানে ৪টা প্যাকেজ রয়েছে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা মতে- প্রতিজন ৭০০ টাকা, ৮৫০ টাকা, ৯৫০ টাকা এবং ১১০০ টাকা। প্রত্যেক প্যাকেজে গেস্ট রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এরই মধ্যে অনেক পর্যটক আসতেছে। দিন দিন বাড়বে পর্যটক। আমরা গেস্টদের জন্য সার্বক্ষণিক সুযোগ সুবিধা রেখেছি। তাই আমরা অনেক বেশি সাড়াও পাচ্ছি।’
এই ওয়াটার পার্কে শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ আনন্দ উপভোগ করছেন। সাধ্যের মধ্যেই অনাবিল আনন্দে মেতেছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা।