শ্রাবণ মেঘের দিন

রেজাউল করিম: শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন আজ। শ্রাবণে বর্ষা ধারা থাকবে না, তা কেমন করে হয়। অথচ প্রকৃতির হেঁয়ালি আচরণে নেই সেই বৃষ্টির রিমঝিম। বর্ষা দূত কদম ফুলও যেনো মানুষ ও প্রকৃতির মতোই শ্রাবণের বর্ষণে সিক্ত হওয়ার অপেক্ষায়।

সবুজ পাতার ফাঁকে অজস্র কদম ফুল ফুটেছে গাজীপুর শহরের আনাচকানাচে। শহরের রাজবাড়ি মাঠ, পুকুর পাড়, শিববাড়ি, রওশন সড়কের পাশে ফুটে থাকা কদমের ফুলে ফুলে এখন চিরায়ত শ্রাবণের হাহাকার- কখন নামবে ঝুম বৃষ্টি।

রবীন্দ্রনাথ কদমকে বাঙালি মননে স্থায়ী করে দিয়েছেন বর্ষার ফুল হিসেবে। লিখেছেন, বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান/আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান…।

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের যেমন তার কবিতায় লিখেছেন ‘আজিকের রোদ ঘুমায়ে পড়িয়া ঘোলাট-মেঘের আড়ে/কেয়া-বন পথে স্বপন বুনিছে ছল ছল জল-ধারে/কাহার ঝিয়ারী কদম্ব-শাখে নিঝ্ঝুম নিরালায়/ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে অস্ফুট কলিকায়।

বাঙালি মননে অবশ্য সবচেয়ে বেশি রোমান্টিকতা সুর বেজেছে এই শ্রাবণী বর্ষায়ই। বর্ষায় আবেগ এবং অনুভূতির জোয়ারে ভাসেননি এমন কবি, সাহিত্যিক পাওয়া দুষ্কর। গ্রীষ্মের রুদ্র প্রকৃতির গ্লানি আর জরাকে ধুয়ে মুছে প্রশান্তি স্নিগ্ধতা আর সবুজে ভরে তোলে বর্ষা। আষাঢ় পেরিয়ে এসেছে শ্রাবণ। শুধু নেই কাঙ্ক্ষিত সে বৃষ্টির দেখা।

রৌদ্রের প্রখরতা ম্লান করে মেঘে মেঘে ছুঁয়ে যাক শ্রাবণ। টুপটাপ শব্দে ঝড়ে পড়ুক বৃষ্টি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts