তনুর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে তিনজনের প্রোফাইল মেলায় হত্যা তদন্ত একটা পর্যায়ে এসেছে বলে মনে করছেন তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান ও সিআইডি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আখন্দ।
তিনি মঙ্গলবার বলেন, ‘এখন বাকি তদন্ত দ্রুত শেষ করার কাজ করছে সিআইডি।’
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ওই সময়ের সেনানিবাস ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, ‘তনুর অন্তর্বাস হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২১ মার্চ সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমার কাছে পাঠানো হয়। পরে আমি তা আলামত হিসাবে জব্দ করি। ২০ মার্চ গভীর রাতে সিএমএইচে তনুর লাশ রাখা অবস্থায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছিলাম। তখন তার পরনে অন্তর্বাস ছিল না।’
তবে এ বিষয়ে সিআইডির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, তনুর বাবা-মা সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের নাম বলেছে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা সেনা নিবাসের বাইরের একটি রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এবং বিকালে পৃথকভাবে সমকালকের সঙ্গে কথা বলেন তনুর বাবা-মা।
তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সিআইডিকে সন্দেহভাজন হিসেবে তিন জনের নাম বলেছি। তাদের মধ্যে দুইজন হচ্ছেন-সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহি জাহিদ। এ দুজনের বাসায় তনু প্রাইভেট পড়াতে যেত। অন্যজনও একজন সেনা সার্জেন্ট। তিনি তনুকে গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। হত্যাকাণ্ডের ১০/১২ দিন আগে তিনি সর্বশেষ গাড়ি নিয়ে বাসায় এসেছিলেন।’
মো. ইয়ার হোসেন বলেন, অপরাধী যেই হোক আমি মেয়ের হত্যার বিচার চাই। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। কারও সঙ্গে আপোষ করব না।’ মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে যারা ধর্ষণ করে হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি চাই।’
-সমকাল