ঘোড়া বেচাকেনার হাট

সেলিম আব্বাস: এক সময় মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য বাহন ছিলো ঘোড়ার গাড়ি। ছিলো ঘোড়া বেচাকেনার হাট। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে সে ঐতিহ্য।

তবে সেই ঐতিহ্যের পথ ধরে জামালপুর সদরের তুলসীপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রায় ৫০ বছর ধরে বসছে ঘোড়ার হাট। এখনো এই হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা আসেন ঘোড়া কিনতে। নানা জাত আর বাহারী রঙের ঘোড়া পাওয়া যায় এই হাটে।

জামালপুর শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এ হাটের অবস্থান। প্রতি বৃহস্পতিবার এ হাট বসে। হাটের দিনে ঘোড়া কেনাবেচা করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার ও ক্রেতার আগমন ঘটে।

হাটে ঘোড়ার শক্তি পরীক্ষার নাম দেওয়া হয়েছে রিমান্ড। শক্তি পরীক্ষায় হাটের মধ্যে বালু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। সেই রাস্তায় ঘোড়ার গাড়িতে ১০ থেকে ১৫ জন মানুষ উঠিয়ে গাড়ি ছুটানো হয়। যে ঘোড়া বালুর মধ্যে গাড়ি টেনে নিয়ে যেতে পারছে, সেই ঘোড়া শক্তিশালী। রিমান্ডে যে ঘোড়া সবচেয়ে বেশি শক্তি দেখাতে পারে সে ঘোড়ার দামও ততো বেশি।

জাত ভেদে প্রতিটি ঘোড়া ৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা হয়ে থাকে। প্রতি হাটে পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলে ১৫০-২০০ ঘোড়া বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন হাট কমিটির সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, জেলার এটি একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। ভবিষ্যতে এ হাটের উন্নতিকরণে উপজেলা প্রশাসনের চেষ্টা থাকবে।

Print Friendly

Related Posts