শাকিব খান ও শবনম বুবলীকে নিয়ে কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন ডালপালা মেললেও অবশেষে বিষয়টি সামনে এসেছে। শাকিব ও বুবলী দুজনের পারিবারিক ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই তারকা জুটির পুত্র সন্তানের বয়স আড়াই বছর।
জানা গেছে, বুবলী মা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড জ্যুইশ মেডিকেল হাসপাতালে। ২০২০ সালের ২১ মার্চ তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বুবলী-শাকিবের সন্তানের নাম রাখা হয় শেহজাদ খান বীর।
সন্তান জন্মের আগে বুবলী আড়ালে চলে যান। পারিবারিক সূত্রটি বলছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান বুবলী। ৯ মাসের আড়াল ভেঙে তিনি সবার সামনে আসেন। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়েন কাজকর্মে। আড়ালে যাওয়ার আগে বুবলী ‘বীর’ ও ‘ক্যাসিনো’ ছবির শুটিং করেন।
বুবলী ‘বসগিরি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্কের খবর শোনা যায়। শাকিব খানের সঙ্গে শবনম বুবলীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছিল। এসব আলোচনার এক ফাঁকে ২০১৭ সালের মার্চে প্রথম দুজনের প্রেমের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রেম ও বিয়ে নিয়ে একাধিক গুঞ্জন শোনা গেলেও দুজনের কেউই এই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি। নিজেদের মতো করেই দুজনে চলচ্চিত্রের কাজ করে গেছেন।
এরই মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুবলী তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বেবি বাম্পের দুটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘মি উইথ মাই লাইফ, থ্রো ব্যাক আমেরিকা’। এরপরই রহস্য দানা বাঁধতে থাকে। সবাই বলাবলি করতে শুরু করেন, তাহলে কি বুবলী সত্যিই মা হয়েছেন?
দুদিন ধরে দফায় দফায় কথা হচ্ছিল শবনম বুবলী ও শাকিব খানের সঙ্গে। সন্তানের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও তাঁরা দুজনে বিষয়টি তাদের সময়মতো সবার সামনে আনবেন বলে জানান। এর বাইরে পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি তাঁরা।
শাকিব খান ও বুবলী দুজনের কেউই বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু না বললে, তাঁদের ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে আজ শুক্রবার শাকিব খান ও বুবলীর সন্তান শেহজাদ খানের সঙ্গে বাবা-মায়ের কয়েকটি স্থিরচিত্র পাওয়া যায়।
এদিকে পারিবারিক সূত্র ও দুজনের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে থেকে জানা গেছে, আজ শুক্রবার দিনের যেকোনো সময়ে শাকিব খান ও বুবলীর কাছ থেকে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সন্তান শেহজাদ খানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথাবার্তা জানা যেতেও পারে।
প্রথম আলো