শাকিব খানের হুমকি, ইউটিউব থেকে ৮শ ভিডিও উধাও

শাকিব খান ফেসবুকের মাধ্যমে ইউটিউবার এবং ফেসবুক পেইজের মালিকদের, যারা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দুর্নাম রটাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন,  ‘অনেক হয়েছে ভিউ বাণিজ্য। ভিউ আর হিটের আশায় যারা অন্যের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে এতো বাজে ও মিথ্যে তথ্য ছড়াতে পারে, তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য দেশের আইনই যথেষ্ট। কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজ ভিউ এর আশায় মিথ্যা কনটেন্ট প্রচার করে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। একটার পর একটা ইস্যু ক্রিয়েট করে যাচ্ছে।………. এ ব্যাপারে আমার আইনজীবী দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’

এই ধমকেই নাকি কাজ হয়েছে। তার অনুসারি কেউ কেউ ফেসবুকে লিখেছেন, হঠাৎ করে শাকিব খানের দুর্নাম রটানো ভিডিওগুলো উধাও হয়ে গেছে।

একজন এ রিপোর্টারকে বলেছেন, প্রায় আটশ’ ভিডিও ডিলিট হয়েছে। কিন্তু তাতে কি অপপ্রচারটা উধাও হয়ে গেছে? তার সম্পর্কে যা রটানো হয়েছে সময়ের ব্যবধানে এক সময় হয়তো তার সবই কেউ না কেউ যাচাই বাছাই করবেন। শাকিব খান মনে করেন তার জনপ্রিয়তার কারণেই এসব হচ্ছে। তিনি নিজেই ‘ভিউ বাণিজ্য’র কথা বলেছেন। প্রশ্ন এখানে নয়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গটি তিনি সামনে টেনে এনেছেন। শোবিজের নিয়ম অনুসারে সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই। কারণ একজন সেলিব্রিটির প্রতিটি পদক্ষেপই সংবাদের উপাদান। সেলিব্রিটির পায়ের নোখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত জনগণের সম্পত্তি। সেক্ষেত্রে সেলিব্রিটিকে নিজেকে সামাল দিয়ে চলতে হবে। এ ব্যাপারটি বিতর্কিত বিশ্বের সর্বত্রই। একটি মার্কিন আদালতও বলেছে, সেলিব্রিটিরা হলো জনগণের সম্পদ। তাদের প্রতিটি বিষয়েই জনগণের কৌতুহল রয়েছে। গণমাধ্যমের কাজ হলো তাদের সব বিষয়ে জনগণকে অবহিত করা। সুতরাং সেলিব্রিটিকে নিজেকে রক্ষা করেই চলতে হবে (জাস্টিস ইন দ্যা জুরি বক্স)। তবে প্রশ্ন থাকতে পারে রটানোর বিষয়টি নিয়ে। সেটাকে কেউ কেউ বলেন গুঞ্জন। সেলিব্রিটিদের কেন্দ্র করে গুঞ্জন রটতেই পারে। গুঞ্জন হলো তারকা জগতের জন্য অলংকারের মতো। যে তারকাকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন রটবে না, তাকে তারকা বলে মনে হয় না।

Print Friendly

Related Posts