হলো প্রকাশিত ফয়সাল আহমেদ এর নতুন বই ‘মুক্তিযুদ্ধে নদী’

প্রকাশিত হয়েছে লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ এর নতুন বই ‘মুক্তিযুদ্ধে নদী’। বইটি প্রকাশ করেছে নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রকর মোস্তাফিজ কারিগর। ১৬০ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪০০ টাকা।
বইটিতে রয়েছে— মুক্তিযুদ্ধে নদী, বাঘের মতো গর্জে উঠেছিল সুন্দরবনের নদী, বিদ্রোহী পদ্মা মেঘনা যমুনা, গানবোট পদ্ম ও পলাশ, মুক্তিযুদ্ধে নদীযাত্রা : শ্বাসরুদ্ধকর একুশ দিন, মুক্তিযুদ্ধের গানে নদী, কীর্তনখোলায় নৌ-যুদ্ধ ও আতহার উদ্দিন তালুকদার, অপারেশন জ্যাকপট ও হুমায়ুন কবীর, সংবাদপত্রে নৌ-যুদ্ধের খবর শিরোনামে বিস্তারিত লেখা। রয়েছে নৌ-কমান্ডো প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান ও নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজ এর সাক্ষাৎকার।
বইটির ভূমিকায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার লিখেছেন— প্রকৃতি, নদ-নদীর কাছে আমাদের ঋণ অশেষ, যা পরিশোধযোগ্য নয়। সম্মানিত পাঠকসমাজ ও প্রিয় নদীপ্রেমিক দেশবাসী, কেবল স্বর্গীয় বিধাতার দানে প্রাপ্ত ঐশ্বর্য— আমাদের নদ-নদীকে দখল ও নাব্যতাহীন করার অনৈতিক আইনবহির্ভূত, অদূরদর্শী সর্বনাশী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে দৃঢ় হব, সচেষ্ট হব— এ প্রত্যাশা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। একটি সত্যিকার সুস্থ-নির্মল নদ-নদী, পরিবেশপ্রেমিক সমাজ ও দেশ গঠনে লেখক ফয়সাল আহমেদ-এর ‘মুক্তিযুদ্ধে নদী’ প্রেরণা জোগাবে- এ বিশ্বাস আমরা রাখতেই পারি। একইসাথে বইটি পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালনে সাহস ও শক্তি জোগাবে। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ নদীভিত্তিক উন্নত ও টেকসই বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। ‘মুক্তিযুদ্ধে নদী’ গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের নদ-নদীর অবদান অকপটে তুলে ধরার জন্যে ফয়সাল আহমেদ-এর সর্বোচ্চ সাফল্য গভীরভাবে প্রত্যাশা করছি।
লেখক ফয়সাল আহমেদ বলেন— এই বইয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নদীর ভূমিকা-অবদান সন্ধান করা হয়েছে। নয় মাসের যুদ্ধে নদী কীভাবে মুক্তিকামী বাংলার দামাল ছেলেদের জন্য সহায়কশক্তি হয়ে উঠেছিল, সমরবিদদের পরিকল্পনায় নদী কতটা প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা জানা-বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এত অল্প পরিসরে বিষদ উপস্থাপন খুবই কঠিন । এটি একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। বইটি পাঠকপ্রিয় হলে আমার প্রচেষ্টা-পরিশ্রম সার্থক হবে।
সূত্র: সাইফ বরকতুল্লাহ
Print Friendly

Related Posts