বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে, পৌঁছে গেছে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার ভোর থেকেই দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি চলছে আগের দিন থেকেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আরও পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে এসে সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোনো এক সময় বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
‘রোয়ানুর’ প্রভাবে প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে ও ঘর ধসে ভোলার তজুমদ্দিন ও পটুয়াখালী দশমিনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূল অতিক্রম করার আগেই উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় কয়েকশ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক লোক।
বাংলদেশ রেড ক্রিসেন্টের সাইক্লোন প্রিপার্ডনেস প্রোগ্রামের উপ পরিচালক মো. শাহাবুদ্দবীন জানান শুক্রবার শেষরাতের দিকে ভোলায় প্রবল ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে তজুমদ্দিনে ঘর ও গাছ চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন- তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শশিগঞ্জ গ্রামের নয়নের স্ত্রী রেখা বেগম (৩৫) ও একই এলাকার মো. মফিজের ছেলে আকরাম (১৪)।
শাহাবুদ্দবীন বলেন, ভোর ৪টার দিকে ঝড়ের তীব্রতা বেড়ে গেলে ঘর চাপা পড়ে আকরাম আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৬টায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া ঝড়ে গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়লে মারা যান রেখা বেগম। স্থানীয়রা বলছেন, ঝড়ে তজুমদ্দিনের শশীগঞ্জ বাজারের তিন শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে সকালে প্রবল ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে ঘর ভেঙে পড়লে পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর গ্রামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দশমিনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম জানান, নিহত ওই নারীর নাম নয়া বিবি, বয়স ৫২। ঝড়ে ওই এলাকার আরও ১০-১২টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় রাজধানী ঢাকা এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলাতেই বৃষ্টি হচ্ছে।