মেট্রো নিউজ : বর্তমান সময়কে ক্রান্ত্রিকাল আখ্যা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সংকট উত্তরণে সরকার কর্তৃত্ববাদী মনোভাব থেকে সরে এসে একটি জাতীয় সংলাপের সূচনার পরিবেশকে উন্মুক্ত করবে বলে তারা আশা করছেন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। চিকিত্সার জন্য তিনি গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বর্তমান সংকটকে রাজনৈতিক আখ্যা দিয়ে এর জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেন, ‘সরকার নিজেই এই সংকট সৃষ্টি করেছে, যা ক্রমেই গভীর থেকে গভীরতর হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর থেকেই দেশে রাজনৈতিক সংকটের সূচনা। এ সংকট উত্তরণে সরকারকে সময় থাকতেই এর উপায় বের করতে হবে। আমাদের দল মনে করে, নির্বাচনকালে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচনের আয়োজন এখন জরুরি।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ঘরে-বাইরে এখন কেউই নিরাপদ বোধ করছেন না। চারদিকে আতঙ্ক, উত্কণ্ঠা ও উদ্বেগ গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে, যেন সামনে ঘোর অন্ধকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সরকার প্রধান অচিরেই আরেকটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার পর দেশে আজ এক সর্বগ্রাসী কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থায় বিপর্যস্ত। দেশ আজ গভীর সংকটেও নিপতিত। এখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘হিংসাশ্রয়ী রাজনীতির চর্চা করে সরকার দেশের সকল বিরুদ্ধমতকে দমনে আজ বেপরোয়া। তারা শুধু বিএনপিই নয়, নাগরিক সমাজ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার বিরুদ্ধেও সরকারের সমালোচনা করায় ক্ষুব্ধ। এমনকি সরকারি রোষাণলের বাইরে গণমাধ্যমও নয়। যারাই সরকারের অপশাসন, দুঃশাসন, দুর্নীতির সমালোচনা করছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত।’