অভিনেতা অনন্ত জলিলকে তলব করেছেন তেহরানের একটি আদালত। এমনটাই বলছেন ‘দিন-দ্য ডে’ চলচ্চিত্রের ইরানি পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজম।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানিয়ে জমজম বলছেন, ‘আদালতে অনন্ত জলিলকে তলবের সময় নির্ধারিত হয়েছে এবং উনি বা উনার আইনজীবীকে ২৫ ডিসেম্বর তেহরানে অবস্থিত ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটর অফিসের নবম শাখায় উপস্থিত হতে হবে। ’
আদালতে তলবের একটি কাগজ প্রকাশ করেছেন তিনি, যাতে ফারসি ভাষায় তেহরানের বিচার বিভাগীয় তদন্ত আদালতের সিলমোহর রয়েছে।
যেখানে অনন্ত জলিল, পিতা আব্দুল গোফুর, মুনসুন ফিল্মস, কাকরাইল ঢাকার ঠিকানা রয়েছে।
চিঠিতে অনন্ত জলিলের নামে স্বত্বাধিকার চুরির অভিযোগ লেখা রয়েছে। অভিযোগকারী মুর্তজা আতশ জমজম লেখা রয়েছে। এ ছাড়াও পার্সিয়ান ১৪০১ সালের ১০ মাসের ৪ তারিখে অনন্ত জলিলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মুর্তজা আতশ জমজমের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ভাষান্তর করে দেখা হলেও সেটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে মুর্তজা আতশ জমজম বলছেন, ‘আইন অনুযায়ী, ইরানে যেসব বিদেশির নাগরিকত্ব নেই তাদের জন্য তাদের দেশের একটি স্বনামধন্য সংবাদপত্রে আদালতের কার্যক্রমের খবর প্রকাশ হয় এবং এটি একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রকাশ করা হয়। অবশ্যই, জনাব জলিল অফিশিয়াল আদালতের সময়ের এক মাস পরে আমার অভিযোগের জবাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে উনার বক্তব্য এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারেন। ’
তবে এ বিষয়ে অনন্ত জলিল সোমবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সে যদি মামলা করে থাকে তাহলে করতে পারে। আমি ভিনদেশি, আমাকে তো আর নিয়ে যেতে পারবে না। আর সে মামলা করেছে তো কী হয়েছে, আমিও মামলা করেছি। আমি ভদ্র বলেই মামলা করা নিয়ে উচ্চবাচ্য করিনি। ’
এই অভিনেতা বলেন, ‘জমজম তেহরানে মামলা করেছে, আমি ঢাকায় মামলা করব। আমি সত্যের পথে আছি। ’
অনন্ত জলিল শর্ত ভঙ্গ করেছেন, এমন অভিযোগ ছিল জমজমের। নির্মাতা জমজমের মতে, ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমার ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক কিছুই হয়নি। অনন্ত জলিল চুক্তিভঙ্গ করে সব নিজের মতো করেছেন।
তার দাবি, ‘তিনি চুক্তি ভেঙেছেন এবং নিজের দায়িত্ব পালন করেননি। বরং তিনি আমার অর্ধনির্মিত সিনেমা নিয়ে নষ্ট করে ফেলেন; যদিও আমি মূল প্রযোজক ছিলাম। তিনি তার মতো করে সিনেমা বানিয়ে ফেলেন। ’
সোমবার জমজম বলেন, ‘সিনেমার সমস্ত কলাকৌশলী ও প্রধান অভিনেতারা আদালতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং ইরানের তৎকালীন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা ড. হোসেইনি, যার তত্ত্বাবধানে এবং স্বাক্ষরে সিনেমার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল (চুক্তি স্বাক্ষরের ছবিতেও তিনি উপস্থিত রয়েছেন), তাকেও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে―আশা করি শিগগিরই ন্যায্য ব্যক্তি তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে। ’