লিখিত চুক্তি করার কথা বলেও চলচ্চিত্র থেকে দীঘিকে বাদ দিয়েছেন নির্মাতা রায়হান রাফি।সম্প্রতি নির্মাতা রায়হান রাফি ‘সুড়ঙ্গ’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে নেওয়ার কথা ছিল রায়হান রাফির।
ছয় মাস আগে এ বিষয়ে দীঘির সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। সম্প্রতি নিজের অফিসে ডেকে মৌখিকভাবে দীঘির সঙ্গে আলাপও চূড়ান্ত করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দীঘিকে বাদ দিয়ে সেখানে তমা মির্জাকে নিয়েছেন রাফি। দীঘিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি নির্মাতা।
একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, রায়হান রাফি একাধিকবার এমন কাজ করেছেন। কয়েক বছর আগের আরেকটি ঘটনা ছিল এমন― ঢাকাই ছবির একজন চিত্রনায়ক প্রযোজককে সঙ্গে নিয়ে রায়হান রাফির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাফিকে ওই চিত্রনায়ক জানান একটি সিনেমা বানাবেন, প্রযোজকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, গল্পও বলেন। পরে প্রযোজকের সঙ্গে রাফি আলাদাভাবে আলাপ করে ওই নায়ককেই সিনেমা থেকে কৌশলে বাদ দিয়ে দেন।
‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে দীঘির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন। হ্যাঁ, না কোনো উত্তরই দিতে রাজি হননি।
এর আগে সোমবার দীঘি নিজের ফেসবুকে জানান, তিন বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রির সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। ওই পোস্টে জানা যায়, দীঘি নানা সময়ে ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির শিকার হয়েছেন। তাঁকে কাস্ট করার পরও বাদ দিয়ে অন্যকে নেওয়া হয়েছে।
সিন্ডিকেটের খেলায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দীঘি―এমনটাই জানিয়ে বলেন, ‘আমার এই লেখার কোনো উদ্দেশ্য নেই। এটা সবাই জানেন। আর এই ক্ষোভ আমি তিন বছর ধরে বুকে পুষে চলেছি। আমি একেবারে ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছি এই সিন্ডিকেটের খেলায়, দুঃখিত। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দীঘি বলেন, হ্যাঁ একজন তরুণ নির্মাতা আমাকে তার চলচ্চিত্রে কাস্ট করেছিলেন। শুধু লিখিত চুক্তি বাকি ছিল। কিন্তু আমাকে না জানিয়েই সেখানে অন্য একজন শিল্পীকে নেন। এটা খুবই অন্যায়। এর আগেও একাধিকবার তিনি এ কাজ করেছেন। আমি নাম বলতে চাই না, আমি ন্যাচারাল রিভেঞ্জে বিশ্বাস করি।
রাফি এমন কাজ নিয়মিত করে থাকেন বলে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। তবে দীঘির বিষয়টি সামনে আসায় চলচ্চিত্রপাড়ায় নানা আলাপ শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পরীমনি রায়হান রাফির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এনেছিলেন। এবার দীঘির অভিযোগের বিষয়টি যুক্ত হলো।