১১২ রানে ৪ উইকেট তুলে ভারতকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। একাধিক সুযোগ হাতছাড়ায় চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিন নিজেদের করতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। অবশ্য শেষ বিকেলে দুই উইকেট শিকারে স্বস্তি ফিরেছে কিছুটা। ৯০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত তুলেছে ২৭৮ রান।
দুইবার জীবন পাওয়া, স্টাম্পে বল লাগার পরও বেলস না পড়ায় বেঁচে যাওয়া শ্রেয়াস আয়ারকে সাজঘরে ফেরাতে না পারা বড় আক্ষেপের বাংলাদেশের জন্য। ৮২ রানে অপরাজিত আছেন এ ব্যাটার। মেরেছেন দশটি চার।
ফ্লাডলাইটের নিচে নতুন বলে স্পিনারদের পাওয়া দুই সাফল্য বাংলাদেশকে ফিরিয়েছে ম্যাচে। দিনের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ এলবিডব্লিউ করেন অক্ষর প্যাটেলকে (১৪)।
ভারতের পঞ্চম উইকেট জুটির প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৯০ রানে চেতেশ্বর পূজারাকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার। ইবাদত হোসেনের বলে ১২ রানে থাকা পূজারার ক্যাচ নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। তাইজুলের বলে ৩০ রানে আয়ারের ক্যাচও ছাড়েন টাইগার কিপার।
সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন ইবাদত। মিরাজের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ ছাড়েন। আয়ার তখন ৬৭ রানে ব্যাট করছিলেন। বড় দুর্ভাগ্যের শিকার হন ইবাদতই। আয়ারের স্টাম্পে বল লাগিয়েও উইকেট পাননি। বলের স্পর্শে স্টাম্পের এলইডি লাইট জ্বলে উঠলেও পড়েনি বেল।
প্রথম সেশনে ভারতের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৪১ রানে শুভমন গিল আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। পরে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি।
সেশনের শেষ বল অবধি ভারতকে চাপে রাখেন তাইজুল। শুভমনকে (২০) আউট করার পর ফেরান কোহলিকে (১)। রাহুলকে (২২) বোল্ড করেন খালেদ আহমেদ।
৪১ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটির স্কোর হয়ে যায় ৪৮/৩। সেখান থেকে হাল ধরেছেন রিশভ পান্ট ও পূজারা। পান্টকে (৪৬) দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যাচ হাতছাড়ার কারণে পঞ্চম উইকেট জুটিটি হয়েছে ১৪৯ রানের।
বাংলাদেশ সফরে প্রথমবার টস জেতে ভারত। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই টস ভাগ্য সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশের।
১০১তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে জাকির হাসানের। তবে একাদশে জায়গা পাননি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাতটি সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক।