দীঘিকে অভিনয়ে মনোযোগী হতে বলেছেন নির্মাতা রায়হান রাফি। এছাড়াও অভিনয়ের জন্য ফিট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এই পরামর্শ ও রায়হান রাফির কথাকে ইতিবাচকভাবে নিতে পারেননি অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির মামা আবু নুসরাত ভিক্টর।
ভিক্টর জানিয়েছেন, দীঘিকে অপমান করার চেষ্টা করা হলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
এক ফেসবুক পোস্টে ভিক্টর বলেন, ‘আমার ভাগ্নি দিঘী যেকোনো কারণে মন খারাপ করে কারো নাম উল্লেখ না করে কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটা স্টাটাস দিয়েছে। কিন্তু চোরের মন পুলিশ পুলিশ বলে একটা ব্যাপার আছে তাই পরিচালক রায়হান রাফি সাহেব নিজেই মিডিয়ার সামনে এসে সত্যমিথ্যা মিশিয়ে কথা বলেছেন। ’
রায়হান রাফির অফিসে ভিক্টর নিজেও দীঘির সঙ্গে ছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘আপনি সুরঙ্গ মুভি নিয়ে দিঘীর সাথে দুইদিন মিটিং করেছেন আপনার অফিসে এবং দুইদিন আমি দিঘীর সাথে উপস্থিত ছিলাম। আপনাকে মনে করিয়ে দেই দ্বিতীয় দিন আপনি চার ঘণ্টা মিটিং করে গল্প শুনিয়েছেন। ’
দীঘি যথেষ্ট যোগ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনার সিনেমায় আপনি কাকে নিবেন কাকে নিবেন না সেটা সম্পুর্ণ আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্ত আপনি আমার ভাগ্নিকে লাইভে এসে মিডিয়ার সামনে অযোগ্য বলতে পারেননা। আমার ভাগ্নি অযোগ্য হলে তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেত না এবং শ্যাম বেনেগালের সাথে কাজ করতে পারতোনা। আপনি ৫০ বছর কাজ করলেও জাতীয় পুরস্কার পাবেন কিনা সন্দেহ। যাকে দিঘীর পরিবর্তে কাস্ট করেছেন উনি কি দিঘীর চেয়ে যোগ্য?’
দীঘির পরিবর্তে এই সিনেমায় যাকে নেওয়া হয়েছে সেটাও নাকি উদ্দেশ্যমূলক এমনটাই মনে করেন দীঘির মামা। তিনি বলেন, ‘যদি পুজা বুবলি বা মিমকে নিয়ে কাজ করতেন তাহলে একটা কথা ছিলো। যাকে নিয়েছেন তাকে কেনো নিয়েছেন এটা ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে। এটা স্বীকার করার সাহস আপনার নাই বলে আপনি দিঘীকে অযোগ্য বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার যে চেষ্টা করছেন এটাও সাধারণ মানুষ বুঝে। ’
অপমান করার চেষ্টা করলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন জানিয়ে ভিক্টর বলেন, ‘আপনি বড় ভাই হিসেবে দিঘীকে পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু আপনার অপমান করার কোনো অধিকার নাই। তাই পরবর্তীতে দীঘিকে অপমান করার চেষ্টা করলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। দিঘী বানের জলে ভেসে আসে নাই।