ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: তাপমাত্রা নিচে নেমে আসায় ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে দক্ষিণের জেলা বরগুনার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রোববার বরগুনায় সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার। স্থবির হয়ে পড়েছে দৈনন্দিন কাজ আর বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে যান চলাচল। গরীব অসহায় জনগোষ্ঠির মধ্যে পড়েছে গরম কাপড়ের হাহাকার।
গত কয়েক দিন ধরেই এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে বরগুনার জেলায়। মধ্য রাত থেকেই শুরু হয় ঘন কুয়াশা। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও বিকেলে আবার সূর্য চলে যায় ঘন কুয়াশার অন্তরালে। দুপুর বেলা শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও বিকেলে আবার বাড়ছে। দিনের অধিক সময় থাকছে কুয়াশায় আচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে মৃদুমন্দ শীতল বাতাস। রাত যত গভীর হয় ঠান্ডার প্রকোপ পৌঁছে যায় অসহনীয় পর্যায়। বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় একই চিত্র। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে পাঁচ হাত দূরের বস্তু অস্পষ্ট। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন, তা আবার ধীরগতিতে। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবিকার তাগিদে বের হলেও শীতের তীব্রতায় পড়ছে চরম দুর্বিপাকে। হাট-বাজার, বাস টার্মিনালসহ জনসমাগম স্থানগুলোতে লোকজনের উপস্থিতি কম। খেটে খাওয়া মানুষগুলো শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন। হিমশীতল আবহাওয়ায় কাজ ছেড়ে একটু আগুনের তাপ পেতে ছুটতে হচ্ছে তাদের গন্তব্যে।
সদরের গৌরিচন্না ইউনিয়নের কালাই মুদাফাত গ্রামের দিনমজুর কালু মৃধা বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে যে এতো শীত পড়ছে তাতে কাজ করা কোন মতেই সম্ভব নয়। কাজ করতে গেলে এমনিতেই মারা পড়বো। কিন্তু, কি করবো কাজ না করলেও যে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।