ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: গুণের কদর না থাকলে যেমন গুণীজন জন্মায় না। তেমনি শিল্পীদের সমাদর না হলে সমাজে গুণী শিল্পীও তৈরি হয় না। নানা বঞ্চনা আর গঞ্জনা নিয়ে সকলের অগোচরে এই গুনী শিল্পীরা এক সময় হারিয়ে যান কালের স্রোতে। তাই স্থানীয় গুণী শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মূল্যায়নে বরগুনার ২০ জন প্রবীণ শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মানা প্রদান করে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি।
সোমবার সন্ধ্যায় এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় প্রত্যেককে ক্রেস্ট, পদক এবং সনদসহ দশ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
এছাড়াও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাড. মো. শাহজাহান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাড. ভূবন চন্দ্র হাওলাদার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি বরগুনার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. মুনিরুজ্জামান, জেলা কালচারাল অফিসার কাজী কামরুজ্জামান প্রমুখ।
গত চার বছরে (২০১৯, ২০, ২১ ও ২২) যারা জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পেয়েছেন তাঁরা হলেন- মোঃ আলমগীর কবীর সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক, রোখসানা পারভীন বেনজু কন্ঠশিল্পী, মতিয়ার রহমান লোকশিল্পী, মনিন্দ্র সমাদ্দার যাত্রাশিল্পী, মো: সিরাজুল ইসলাম কিসলু নাট্যশিল্পী, কাজী এনায়েত হোসেন সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক, লোকমান হাকিম লোকশিল্পী, সচিন্দ্র নাথ সমাদ্দার যন্ত্রশিল্পী, জাহাঙ্গীর হোসেন সিকদার নাট্যশিল্পী, অমল চন্দ্র মজুমদার কন্ঠশিল্পী, আব্দুল গনি যাত্রাশিল্পী, অমল চন্দ্র কর্মকার যন্ত্রশিল্পী, সুধান্য কিশোর হাং চারুশিল্পী,ড. কামাল উদ্দিন কবির নাট্যকলা, ইফতেখারুল ইসলাম কন্ঠশিল্পী, দিপালী যাত্রাশিল্পী, আ. মন্নান বাউল লোকশিল্পী, স্বপন দাস নাট্যশিল্পী, কৃষ্ণকান্ত মজুমদার কন্ঠশিল্পী, যুবরাজ রায় যন্ত্র সংগীতে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননার জন্য মনোনীত হন।