জ.ই বুলবুল: শীত এলে কাবু হয়ে পড়েন উত্তরের জেলা গাইবান্ধার মানুষ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় বাড়তে থাকে শীতের দাপট। প্রতি শীতে অসহায় হয়ে পড়েন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এসব অসহায় মানুষকে উষ্ণতা দিতে এগিয়ে এসেছে “নারী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ”।
নারীর কল্যাণে, নারীর পাশে- এই স্লোগানকে সামনে রেখে “নারী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” নামের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলার সাগাটা উপজেলার মেছটে দেড় শতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সাঘাটা উপজেলার মেছট গ্রামে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি রোকেয়া সুলতানা রানীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সদস্য প্রভাষক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জুমারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রোস্তম আলী আকন্দ।
সংগঠনের সভাপতি রোকেয়া সুলতানা রানী বলেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অসহায় গরিব দরিদ্র মানুষ আছে। এই তীব্র শীতে শীতার্তদের কথা বিবেচনায় রেখেই আমার সাধ্য অনুযায়ী এই শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। সমাজের অসহায় ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। আমার এই শীত বস্ত্র বিতরণ চলমান থাকবে।”
প্রধান অতিথি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “শীতকাল যখন ঘনিয়ে আসে তখন আমাদের এলাকার অসহায়, গরীব জনগণের মাঝে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসে। তীব্র শীতে তারা কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিবে এই আশঙ্কায়। তীব্র কুয়াশা, কনকনে হিমেল হাওয়া সব মিলিয়ে অসহায় দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কষ্টের সীমা থাকে না। শীতের এই দুঃসময়ে নারী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বেশ মানবিক কাজ করেছে কম্বল দিয়ে।”