১ম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু, রোববার আখেরি মোনাজাত

রেজাউল করিম: গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর এখন লাখো মুসল্লির সমাগমে মুখরিত। লাখ লাখ মুসল্লির আগমনে ময়দান ও আশপাশের এলাকা পূর্ণ হয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব।

প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লিরা দলে দলে মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান করছেন।

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ জানান, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক আ’ম বয়ান শুরু হয়েছে। শুক্রবার বাদ ফজরে মূল বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমা শুরু হয়েছে । আর রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত চলবে তাবলিগের ছয় উসুলের এ বয়ান।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের আলেমরা মূল বয়ান করবেন। মূল বয়ান বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষাভাষিদের জন্য তাৎক্ষণিক তরজমা করা হবে। আখেরি মোনাজাতের আগে হবে হেদায়েতি বয়ান।

আজ (শুক্রবার) দেশের বৃহত্তম জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের এ জু’মার নামাজে ইমামতি করবেন। এ নামাজে অংশ নিতে প্রতি ইজতেমায় তাবলিগের অনুসারী ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষ অংশ নিবেন।

এদিকে তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমার নির্ধারিত স্থানে অতিরিক্ত মানুষের কারণে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। শীত উপেক্ষা করে ময়দানের বাইরে ফুটপাতে ও খোলা জায়গায় শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে অবস্থান নিয়েছে। মুসল্লিদের কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষে ফুটপাতে ও মাঠের আশপাশের অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুই পর্বে পোশাকে, সাদা পোশাকে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন সাড়ে ৭ হাজার সদস্য। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুুলিশ বিভাগ ১৪টি কন্ট্রোলরুম তৈরি করেছে। র্যাবের কন্ট্রোল রুম থাকবে, ডিএমপি তার এলাকায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে, ওয়াচ টাওয়ার, র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, মুসল্লিদের অনুরোধে আমরা সিটি কর্পোরেশন ৩০ হাজার গজ চটের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিস্কার পরিচ্ছন্নের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মশা নিধন ঔষধসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।

Print Friendly

Related Posts