বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় স্কুলে গিয়ে আবর্জনার স্তুপের আগুনে দগ্ধ হয়ে স্কুলশিক্ষার্থী ফারজানা (৮) মারা গেছেন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাত একটার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পূর্ব লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় ফারজানা (৮) আক্তার নামে চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। ফারজানা একই এলাকার ফারুক খানের মেয়ে।
পাথরঘাটা থানা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির মা চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ফারজানা তার বাবার সাথে দাদা বাড়িতে থেকে পুর্ব লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তো। সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।এসময় ওই শিক্ষার্থী আগুন এর কাছে গেলে শিক্ষার্থীর শরীরের কাপড়ে আগুন ধরে যায়। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় শিক্ষকরা ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তখন চিকিৎসকরা জানান ফারজানার শরীরের ৭২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাই পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টিএম শাহ্ আলম বলেন, ঘটনার পর থেকেই শিশু শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছেন তারা। তবে, পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা ৭২ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে বাঁচানো যায়নি।
এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহআলম হাওলাদার বলেন, শিশু শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।