ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: চলতি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনা সদরে আমনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরুপ আমন ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছেন কৃষক। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় শ্রমিক সঙ্কট থাকায় ধান কাটতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে জমিতে পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। দিগন্তজোড়া মাঠের সোনালি ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কাটা ধানের আঁটি বেঁধে মাথায় করে, কেউবা পরিবহনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে বরগুনা সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে কৃষকদের মাঝে। এ ছাড়াও কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ এবং বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন বলে এ অঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে, এমনটি স্বীকার করেন কৃষকরা।
সদরের গৌরিচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেন জানান, নিয়মিত পরিচর্যা, সময়মতো সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ মৌসূমে আমনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে শ্রমিক সঙ্কট থাকায় জমি থেকে ধান কাটতে সময় বেশি লাগছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় অধিক ফলন হয়েছে। যদি ধানের ভালো দাম পাওয়া যায় তবে লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসূমে বরগুনা সদরে আমন ধান আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। সে লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছে। উপজেলার ৩১ টি ব্লকে ২৮ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্থানীয় কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ ও নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ মৌসূমে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের স্বপ্নপূরণ হয়েছে।