‘আত্মহত্যা’ বদলে গেলো ময়নাতদন্তে

গৌরাঙ্গ শীল: নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে সোনালী সরকার নামে এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের গনেন্দ্র দাস ও তার ভাই নগেন্দ্র দাস। তারা সোনালী সরকারের চাচাতো ভাই।

কয়েক মাস আগে ওই তরুণীর ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তখন ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে পরিবারের লোকজন।

গ্রেপ্তারের পর শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত নারদ সরকারের মেয়ে সোনালী সরকারকে ৪-৫ মাস আগে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বাবা মারা যাওয়ার পর সোনালী চাচাতো ভাই গনেন্দ্র দাস ও নগেন্দ্র দাসের বাড়িতে থাকতেন। ফাঁস লাগানোর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেন গনেন্দ্র ও নগেন্দ্র। তবে স্থানীয়দের সন্দেহের কারণে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সম্প্রতি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সোনালীর মৃত্যকে হত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় সোনালীর চাচাতো ভাই গনেন্দ্র ও নগেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সোনালীর মৃত্যুর কারণ হত্যা বলে জানা গেছে। তাই এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় সোনালীর চাচাতো ভাই গনেন্দ্র ও নগেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

Print Friendly

Related Posts