খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: বরিশালে জাটকা নিধন রুখতে নেই কোন সফল অভিযান । প্রতিদিনই বরিশাল থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিপুল পরিমানে জাটকা পাচার হলে ও মৎস্য কর্মকর্তাদের নেই কোন সফল অভিযান।
উল্টো অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীরা কিছু অসাধু মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রসাশনের কর্মকর্তাদের মাসিক বিটের মাধ্যমে ম্যানেজ করে অবাধে জাটকা পাচার করে চলেছে। আর মাঝে মাঝে কোস্টগার্ড কিছু জাটকাবিরোধী অভিযান চালালেও মৎস্য কর্মকর্তারা থাকেন একবারে নীরব ভূমিকায়। জাটকা বিরোধী অভিযান চালিয়ে জব্দ করা মাছ বিভিন্ন এতিমখানা ও অসহায়দের মাঝে বিতরণের সময় শুধুমাত্র ফটোসেশন করার জন্য মৎস্য কর্মকর্তাদের দেখা মেলে।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত বছরগুলোতে জাটকা পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও এবছর বরিশালের মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রসাশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, অবৈধ জাটকা ইলিশ পাচারে বিভিন্ন পরিবহন ও নৌ পথে ট্রলার বা লঞ্চ থেকে মোটা অংকের মাসহারা নিয়ে পাচার কাজে সাহায্য করছেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বরিশালের তালতলী বাজার প্রতিদিন সকালে প্রকাশ্যে শত শত কেজি জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বরগুনার আমতলী, তালতলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপা, কলাপাড়া, মহিপুর, কুয়াকাটা ও আলীপুরের থেকে আসা বিভিন্ন পরিবহন করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা জাটকা ইলিশ মাছ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাছ পাচার হচ্ছে । সরকার যখন জাটকা ইলিশ রক্ষা করার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে, ঠিক তখনি সরকারে সেই কথাকে তোয়াক্কা না করে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা।
বরিশাল পোর্টরোডের এক মৎস্য ব্যবসায়ী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, দক্ষিনাঞ্চল থেকে আসা বেশ কিছু পরিবহনে আসে অবৈধ জাটকা ইলিশ। আর সেই জটকা না ধরার জন্য প্রতিমাসে গাড়ি প্রতি হাজার টাকা করে মাসোহারা দিতে হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, টাকা দিয়ে প্রশাসন, মৎস্য কর্মকর্তাসহ সবাইকে ম্যানেজ করতে হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এই ৮ মাসের মধ্যে ৯ ইঞ্চি ছোট জাটকা ইলিশ পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদফতর। এ আইন অমান্য করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা ২ বছরের জেল অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান আছে।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার এর নিকটে মৎস্য অধিদপ্তর অভিযানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কৌশলে জনবল সংকটের কথা বলে এ প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।