ভোলা-ঢাকা রুটের সুরভী লঞ্চে হামলা, শিশুসহ ১৫ যাত্রী আহত

ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘সুরভী-৮’ এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। একই জায়গা থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘সাব্বির-৩’ নামের অপর একটি লঞ্চের স্টাফরা এ হামলা চালান। এতে সুরভী লঞ্চের স্টাফসহ ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জ ঘাটে ঘটনাটি ঘটে।

এর আগে, ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে রাত ১০টা ২০ মিনিট ও সাড়ে ১০টার দিকে সাব্বির-৩ ও সুরভী-৮ লঞ্চ দুটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

সুরভী-৮ লঞ্চের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ করে জানান, নিয়মানুযায়ী সাব্বির-৩ লঞ্চটির বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ ঘাট ত্যাগ করার শেষ সময় ১০টা ৫০ মিনিট। কিন্তু তাঁরা প্রায়ই ১১টার পর কালীগঞ্জ ঘাট ত্যাগ করে। যেখানে নিয়মানুযায়ী সুরভী-৮ লঞ্চের থাকার কথা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার অনেক পর সাব্বির-৩ লঞ্চটি কালীগঞ্জ ঘাটে এসে পৌঁছায়। এসময় সুরভী-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার ও সাব্বির-৩ লঞ্চের সুপারভাইজারদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে সাব্বির-৩ লঞ্চের স্টাফরা সুরভী-৮ লঞ্চে গিয়ে হামলা চালায়। তারা লঞ্চের গ্লাস ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ ও লঞ্চে থাকা শিশুসহ ১৫ যাত্রী আহত হন।

আহত যাত্রী সুমন, কবির হোসেন ও রাবণ জানান, হঠাৎ করে লঞ্চে গন্ডগোল শুরু হয়। ঘুমন্ত যাত্রীদের মাথার ওপর দিয়ে সাব্বির-৩ লঞ্চের স্টাফরা দৌঁড়ে গিয়ে হামলা চালান।

সাব্বির-৩ লঞ্চের স্টাফরা নিজেদের ওপর ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লঞ্চটির কেরানী রাজিব অভিযোগ করেন, তাঁরা ১০০ টাকা টিকেটে কালীগঞ্জ ঘাট থেকে যাত্রী তুলছিলেন। যার কারণে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়।

বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি।

Print Friendly

Related Posts