পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বেপরোয়া চালকের কারণে মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী বাসটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় ১৭ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।
এ দুর্ঘটনার পর পরিদর্শনে গিয়ে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এসব কথা জানান।
পুলিশ সুপার জানান, সকালে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলে বাসচালকসহ ১৫ যাত্রী মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুই যাত্রী মারা যান। এ দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জনকে উদ্ধার করে শিবচর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও বলেন, বাসচালকের বেপরোয়া গতিই এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরাতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই দুর্ঘটনা থেকে অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যাওয়া আনোয়ারা নামের এক নারী বলেন, চালকের বাম পাশের আসনে বসেছিলাম, আমার ছেলে আমার কোলে ছিল। বাসের বাম পাশের টায়ার পাংচার হয়ে যায়। এরপর গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। গাড়ি ছাড়ার পর থেকেই অনেক বেশি গতিতে চলছিল। আল্লাহ আমাদের দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমার আর ছেলের গায়ে একটুও আঁচড় লাগেনি।