মাওলা সুজন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নব নির্মিত মডেল মসজিদের একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরকের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে র্যাবের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল।
এ ঘটনায় মসজিদের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমকে (৩০) আটক করা হয়েছে। তার ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আবদুল হালিমের দাবি, ব্যাগে বডি স্প্রের বোতল ছাড়া অন্য কিছু ছিল না।
মসজিদের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই ফিল্ড সুপারভাইজারের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়।
অপরদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গঠিত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অপর চার সদস্য হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত, নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া এবং বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদ বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে আজই কাজ শুরু করবো।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, র্যাবের সদস্যরা অত্যাধুনিক স্ক্যানার যন্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাদের ভাষ্যমতে, বিস্ফোরণস্থলে কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি মেলেনি। তবে বোমা নিস্ক্রিয়কারাী দল ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। ঢাকায় নিয়ে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটি প্রতিবেদন দিবেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, বিস্ফোরণটি ওই কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমের রাখা ব্যাগ থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছেন, তার ব্যাগের ভেতর বডি স্প্রের একটি বোতল ছিল। এ ছাড়া অন্য কিছু ব্যাগে ছিল না। বডি স্প্রের বোতল থেকে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।