যৌনকর্মীদের নিরাপত্তায় কাজ করবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সহায়তার মতো মূলধারার কার্যক্রমে যৌনকর্মীদের তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন।যৌনকর্মীরা নিজেদের শারীরিক নিরাপত্তার জন্য জন্মনিরোধীকরণ বিভিন্ন উপকরণ বহণ করে। ফলে তারা বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কিছু সদস্যদের দ্বারা হেনস্থের শিকার হয়। তবে আগামী দিনে যৌনকর্মীদের এইসব হয়রানী থেকে মুক্ত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ বলে আশস্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১ টায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সহযোগিতায় সেভ দ্য চিলড্রেন
বাংলাদেশে দ্বারা সমর্থিত দ্য গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারী যৌনকর্মীদের জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধে
ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরফুদ্দিনসহ ইন্সপেক্টর
(ক্রাইম), ডিআইও-১, গোয়েন্দা শাখার প্রতিনিধি, সাব-ইন্সপেক্টর, সহকারী সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলসহ বিভিন্ন পদের মোট ২১ জন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জন্মনিরোধ পরিকল্পনা নিশ্চিত করার জন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এর জন্য নীতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে এএসপি/ডিজিএইচএস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।
সূত্র: তরিকুল ইসলাম, কমিউনিকেশন অফিসার
স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।