মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর শাখা গাক এনজিও অফিসে দুইদিন আটকে রেখে হিসাব রক্ষক মনির হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় পালাক্রমে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ওই এনজিওতে কর্মরত এক নারী।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে তিনি থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি বলেন, ভিকটিমকে নারী ও শিশু হেফাজতে রাখা রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় দৈনিক একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় গাক এনজিওর এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন আমাদের সময় পত্রিকার সাংবাদিকসহ একাধিক সাংবাদিক ফোন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। এমনকি আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে আসেন।
অভিযুক্তরা হলেন, কালামপুর গাক এনজিও হিসাব রক্ষক মনির হোসেন (৩০),ম্যানেজার শামীম (৩৫),এরিয়া ম্যানেজার জিল্লুর রহমান (৩০),গাক এনজিও অফিস ভবনের মালিক আব্দুল বারেক (৪৫) ও মোজাহিদ (৪০)। ইতিপূর্বেও গাক এনজিওর গ্রাহক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে ওই নারী বলেন, গত চার মাস পূর্বে কালাপুর বাজারে অবস্থিত গাক এনজিওতে তিনি বাবুর্চির চাকরি নেন। চাকরি নেওয়ার পর থেকে তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল হিসাব রক্ষক মনির হোসেন ও ম্যানেজার শামীম এবং জিল্লুর রহমান। তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে ওই অফিসের ভিতরে ম্যানেজার শামীম ও জিল্লুরের সহযোগিতায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন মনির হোসেন। পরে গত ২৬ মার্চ আবারও ম্যানেজার শামীম ও জিল্লুর তাকে অফিসের ভিতরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় ওই নারী রান্না ঘর থেকে দা হাতে তাদের ধাওয়া দেয়। এঘটনার পর ওই নারীকে এনজিও অফিসের ভিতরে দুইদিন আটক রাখেন তারা। পরে বাড়িওয়ালার আব্দুল বারেক ও মোজাহিদের সহযোগিতা নিয়ে ওই নারীকে হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
এদিকে অভিযুক্ত গাক এনজিও কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে গাক এনজিওর কর্মরত জাকির হোসেন নামের এক এ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সাংবাদিক মো. বাবুল হোসেনকে ফোন করে হুমকি দেন। বলেন, আপনার বিরুদ্ধে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করব।