কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব চলাকালীন জন্ম নেওয়া এক নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘মোখা’।
রোববার (১৪ মে) মোখা আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পেকুয়ার এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনে আশ্রয় নেওয়া জয়নব বেগম (১৯) এই শিশুটির জন্ম দেন। তিনি রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলা পাড়ার মো. আরকানের (২২) স্ত্রী।
প্রসব বেদনা শুরু হলে সরকারি গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার। পরে ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের নাম রাখেন মোকাম্মেল হোসেন মোখা।
মো. আরকান বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে রাত ১টার দিকে প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছিলেন আমার স্ত্রী। মধ্যরাতে কোথাও গাড়ি পাচ্ছিলাম না। ঠিক ওই সময় আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন পেকুয়া থানার ওসি। আমাদের অসহায়ত্ব দেখে তিনি নিজের গাড়িতে তুলে ১২ কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘জয়নবকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানোয় এখন আর ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। দুর্যোগকালীন সময়ে বিপদে এগিয়ে আসায় পুলিশের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
ওসি ওমর হায়দার বলেন, ‘মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে প্রসব বেদনায় কাতরানো ওই নারীকে আমি দুর্গত এলাকা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওই মুহূর্তে আমার সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা ছাড়া উপায় ছিল না। পুলিশের কাজ তো জনকল্যাণ। আমি সে কর্তব্য পালন করেছি মাত্র। ওই প্রসূতি নারীর ছেলে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। তার নাম রাখা হয়েছে মোকাম্মেল হোসেন মোখা।’