রোববার (১৪ মে) ক্লাউড কাউন্টি গ্রাউন্ডে শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায় ৪ রানে। ২-০ ব্যবধানের জয়ে সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরে নেয় তামিমের দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ২৭৪ রানে অলআউট হয়। রান তাড়া করতে নেমে মোস্তাফিজ-হাসানের যুগলবন্দি আক্রমণে আয়ারল্যান্ড থামে ৯ উইকেটে ২৭০ রানে। নিজের ফিরতি ম্যাচে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন মোস্তাফিজ। ব্যাট হাতে ১ সেঞ্চুরিসহ ১৯৬ রান ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন শান্ত।
১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগে তিনে থেকে শেষ করলো বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডেরও। কেবল নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় তারা দুইয়ে। ১৭৫ পয়েন্ট নিয়ে নিউ জিল্যান্ড শীর্ষে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে অনেক আগেই। অধিনায়ক তামিম চেয়েছিলেন শীর্ষ চারে থেকে আইসিসি সুপার লিগ শেষ করতে। তিনে থাকায় নিজেদের মিশন সাকসেসফুল।
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বাংলাদেশ সুপার লিগে মোট আটটি সিরিজ খেলেছে। ঘরের মাঠে চারটি। বাইরেও চারটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০, শ্রীলঙ্কাকে ২-১, আফগানিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। কেবল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে। সেটাও ২-১ ব্যবধানে।
দেশের বাইরে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২-১ ব্যবধানে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে শেষটা মধুর হলো।
ওয়ানডে ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দায়িত্ব ছাড়ার পর তামিম নেতৃত্বভার পান। অধিনায়কত্ব নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল তার সামনে। আইসিসি সুপার লিগসহ অন্যান্য ম্যাচগুলোতে ভালো করায় অধিনায়ক তামিমের ওপর থেকে সেই চাপ সরে গেছে নিশ্চিতভাবে। কিন্তু ব্যাটসম্যান তামিমের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। তা কিভাবে মোকাবেলা করবেন সেই পথ নিশ্চয়ই তার জানার কথা।
পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্যে বাংলাদেশ অন্যতম পরাশক্তি হয়ে উঠেছে। ২০২৩ বিশ্বকাপ হতে পারে নিজেদের মেলে ধরার সেরা মঞ্চ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ওয়ানডে সুপার লিগে সফল। বাংলাদেশ নিজেদের চ্যালেঞ্জে (চারে থাকার) জেতায় মানসিকভাবে বিশ্বকাপে আরও চাঙ্গা থাকতে পারবে।