গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণে সকাল থেকেই ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর কেন্দ্র হাতিমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে নাছিমা বেগম জানালেন, তিনি সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রে এসে দুপুর সোয়া ১টায় কাঙ্ক্ষিত ভোট দিতে পারলেন।
নাছিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে আসার পর পুলিশ আমাকে আরেক বুথে যেতে বলেছিল। পরে জানতে পারি দুই নম্বর বুথে আমার ভোট, এখানে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ভোট দিতে পারলাম।’
কেন্দ্রটির ২ নম্বর বুথে দায়িত্বরত সহকারী প্রিজাইডিং নুসরাত জাহান বলেন, ‘সোয়া পাঁচ ঘণ্টায় ৩৭২ ভোটের মধ্যে ৯৮টি ভোট পড়েছে। প্রতি ভোটে ছয় থেকে সাত মিনিটের বেশি লেগে যাচ্ছে। প্রচুর সময় লাগছে, কারণ এখানকার ভোটারদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী নারী। ফলে তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। বয়স্ক নারীদের অনেকে পড়তে পারেন না, ইভিএম প্যানেলে প্রার্থীর নাম যে নাম উঠছে তা বুঝতে পারছেন না আবার ইভিএমে ছোট করে যে প্রতীক থাকে তাও বুঝতে পারছেন না।’
পাশের ১ নম্বর বুথে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় ৩৭২টির মধ্যে ৫৮টি ভোট পড়েছে। ঘণ্টায় প্রায় দশটি করে ভোট পড়েছে। সেখানে দায়িত্বরত পোলিং অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, ‘নারীরা বুঝতে পারছেন না। কোনো কোনো নারীর ১০ থেকে ১২ মিনিট লেগে যাচ্ছে ভোট দিতে। আবার যারা শিক্ষিত তাদের দুই আড়াই মিনিটে হয়ে যাচ্ছে।’
কোহিনুর বেগম নামের এমন একজন নারী ভোটারকে ২ মিনিটে ভোট দিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দেওয়া জটিল কিছু নয়, অনেক সহজ।’