গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এই ভোটের মাধ্যমে গাজীপুরের নতুন মেয়র নির্বাচিত হলেন। জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।
জয়ের পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘গাজীপুরবাসীর সবাইকে শুভেচ্ছা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভোটটা আমার সুষ্ঠু হয়েছে। আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এই জন্য আমি আরো ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে।’
শুক্রবার (২৬ মে) ভোররাত ৪ টার পর তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি। এসময়ে তার পাশে ছিলেন ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিজয় আমি গাজীপুরবাসীকে দিবো এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও দিবো। গাজীপুরবাসীর ঋণ আমি শোধ করার চেষ্টা করবো। সাংবাদিকরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাই আপনাদের ঋণও আমি শোধ করবো। আপনারা যখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তখন আমার সাথে বা আশেপাশে কেউ ছিলো না। আমি গাজীপুরের কাজ করেই ঋণ শোধ করবো। কাজটা যেহেতু আমি একা করতে পারবো না। তাই আমার ছেলেকে নিয়ে করবো যে আগে থেকেই আমার পাশে ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজমত উল্লাহ খানকে জিজ্ঞেস করে ও মতামত নিয়েই কাজ করবো। একজনের জায়গা দিয়ে রাস্তা যাবে, একজনের জায়গা দিয়ে ড্রেন যাবে কিন্তু দিতে চাইবো না। তাই সবাইকে সাথে নিয়েই কাজ করবো। এলাকার মানুষকে নিয়েই কাজ করবো। আমার ছেলে ও আমার মিথ্যা কেউ পায় নাই। মিথ্যা অভিযোগ তোলার দুঃখেই, মিথ্যার প্রতিবাদে এইখানে আমার ভোটে আসা। গাজীপুরের মানুষকে এতো ভালোবাসছি এবার দেখি তারা আমারে কেমন ভালোবাসে। এই ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্যই ভোটে আসা। আমি গাজীপুরবাসীর ভালোবাসা পেয়েছি।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখন আমি মেয়র নেই কিন্তু আমার মা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হিসাবে এই শহরের যতো কাজ আছে আমি মায়ের সঙ্গে থেকে এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় কাজগুলো করবো। আজমত উল্লা খান আমার বড় ভাই। তার পরামর্শ এবং এখানে বড় যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছে সবার সঙ্গে আলোচনা করে, পরামর্শ নিয়ে আধুনিক শহর গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। এই শহরবাসী আমাদের বিশ্বাস করেছে। বড় মানুষরা ছিলো না কিন্তু এই শহরের খেটে খাওয়া মানুষ আমাদের পাশে থেকে মাকে-আমাকে সহযোগিতা করেছে। তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চাই। আমাদের শহর সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করার জন্য আমরা মা-ছেলে প্রস্তুত আছি।’