বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার নারী গর্ভধারণ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে মারা যান বলে জানায় ডব্লিউএইচও। দেশে প্রতি এক লাখ প্রসবের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৫ জন। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা ৭০ জনে কমিয়ে আনতে হবে। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ।
১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয়। এরপর থেকে নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার কমানো ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর ২৮ মে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘গর্ভকালে চারবার সেবা গ্রহণ করি; নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করি।’
মূলত, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সব নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব।
গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতার কারণে বিশ্বে প্রতিদিন ৮৩০ নারীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশের মৃত্যু ঘটে উন্নয়নশীল দেশে। ১৯৮৭ সালে কেনিয়ায় নাইরোবি কনফারেন্স এই নিরাপদ মাতৃত্বের ঘোষণা করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২০০০ সালের দিকে ৫০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু কমানো।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে এ বিষয়ে অনুমোদন দিলে পরের বছর থেকে দেশব্যাপী দিবসটি পালন শুরু হয়। পরে ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ উদ্যোগ টেকসই উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত করে। এ সব কার্যক্রমে ২০০০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মাতৃমৃত্যুর হার ৩৮ শতাংশ কমে আসে। দেশে প্রতি ১ লাখ প্রসবের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৫ জন। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা ৭০ জনে কমিয়ে আনতে হবে।