ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: বরগুনায় টিআর কর্মসূচির আওতায় মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু সদনসহ ৩০টি প্রকল্পে বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা ৩০ লাখ টাকাই হাওয়া হয়ে গেছে। বরগুনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে টিআর কর্মসূচির এসব অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বরগুনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ঢাকা, স্মারক নং-৫১.০১.০০০০.০১২.১৪.০০৫.২১.২০২ তারিখ ১৯ জুন ২০২২ বরগুনা সদর উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচির আওতায় জামে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু সদনসহ ৩০ টি প্রকল্পের অনুুকুলে ৩০ লাখ টাকা উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ সকল প্রকল্পের কাজের শেষ সময়সীমা ছিল ৩০ জুন ২০২২।
বরগুনা সদরের উত্তর খাজুরা মাদ্রাসা সংলগ্ন জামে মসজিদ সংস্কার কাজের জন্য ১ লাখ টাকা টিআর বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই প্রকল্পের সিপিসি মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, টিআর বরাদ্দ পেয়েছি জেনে ঋণ নিয়ে মসজিদের টিনের চাল মেরামত করেছি। পিআইও সরেজমিনে তা পরিদর্শন করে বরাদ্দকৃত অর্থ প্রদান করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দেন। আমি নির্ধারিত সময়ে রেজুলেশনসহ সকল কাগজপত্র পিআইও অফিসে জমা দিয়েছি। পরবর্তিতে বরাদ্দের টাকা আমাকে দেয়া হয়নি। এখন শুনি চেক জালিয়াতি করে পুবালী ব্যাংক থেকে আমাদের সমুদয় অর্থ তারা নিয়ে গেছে।
সরেজমিনে একাধিক প্রকল্প সিপিসিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বরাদ্দকৃত অর্থ তারা পাননি।জানতে চাইলে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জিয়াউর রহমান জানান, আইনে যেটা বলা আছে, প্রথম কিস্তিতে সেভাবেই অর্ধেক টাকা ছাড় দিয়েছি। পরবর্তীতে কমপ্লেন আসায় বাকী অর্থ ছাড় দেয়া হয়নি।
কোনো সিপিসি টাকা পায়নি- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি প্রমাণ আমার সামনে নিয়ে আসবেন তাহলে সামনেই কথা বলা যাবে।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওছার হোসেন বলেন, একটি অথবা দুটি বিল ছাড়া বাকীগুলো ছাড় দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন তিনি সব বলতে পারবেন।