বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর উঠান বৈঠকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২ জুন) রাতে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের বান্দ রোড সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এই সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজনে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর উঠান বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। রাত ৮টায় ওই উঠান বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও প্রার্থী রাত ৯টার দিকে মঞ্চে আসেন। এ সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বক্তব্যের জন্য মাইকের কাছে গেলে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাসের মঞ্চে ওঠা নিয়ে হট্টগোল সৃস্টি হয়।
এ নিয়ে প্রধান অতিথি বক্তব্য শুরু করার আগেই ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল্লাহ কবির ও জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এসময় মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের রিয়াজুল ইসলাম, রেশমা আক্তার, রিয়াদ, নুরুজ্জামান, রেশমা বেগম, সুমন হাওলাদার, মিঠু, সিদ্দিক, মো. সানি, এনামুল হোসেন নামের ১০ কর্মি আহত হন। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে ওই দুই কাউন্সিলর প্রার্থী পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আফজালুল করিম বলেন, অনুষ্ঠানে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন বিচ্ছৃঙ্খলা করেছে। বিব্রতকর পরিস্থিতির কারণে খোকন সেরনিয়াবাত বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করেন। সেখানে পরবর্তীতে উঠান বৈঠক করা হবে। এ ঘটনার পর সতর্কতা হিসেবে নৌকার পরবর্তী উঠান বৈঠকের মঞ্চে কোন কাউন্সিলর প্রার্থীকে উঠতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল হক বলেন, আওয়াম লীগ প্রার্থীর উঠান বৈঠকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়েছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।