মেট্রো নিউজ :ভিয়েতনাম থেকে নারকেলের চারা আমদানি করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের দুই লাখ চারা আনা হবে। এরমধ্যে পঞ্চাশ হাজার সরকারিভাবে। দেড় লাখ বেসরকারি উদ্যোগে। এজন্য সরকারের ও বেসরকারি এক প্রতিনিধি দল যৌথভাবে ভিয়েতনাম যাবে আগামী মাসে। আগামী মার্চের মধ্যেই নারকেল গাছের চারা দেশে এসে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক জানান, ভিয়েতনামের নারকেল চারা অনেক উন্নতমানের। বছরে ফলন দেবে দুই বার। প্রতিবারে তিনশর বেশি নারকেলের ফলন দেয়। চারার দামও তুলনামূলকভাবে কম।
এর আগে কেরেলা থেকে অধিক ফলনশীল জাতের নারকেলের চারা আনা হয়েছিল। প্রতিটির দাম পড়ে আটশ টাকা। সরকার অবশ্য মুনাফা না করে ক্রয়মূল্যেই ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। কেলেরা থেকে আনা বিশ হাজার চারা কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। বছরে তিনশর বেশি ফলন দেয় বলে মানুষের মধ্যে এ চারা সংগ্রহে প্রচুর আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু অপেক্ষকৃত কম দাম এবং ফলনও বেশি বলে ভিয়েতনাম থেকে এবার সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জানা যায়, ভিয়েতনামের নারকেল গাছ তিন বছরের মধ্যে ফলন দেয়। গাছের উচ্চতা পাঁচ থেকে ছয় ফুট। এই চারার সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হলো এই নারকেল গাছের নারকেল থেকে এখানেই বীজ চারা উৎপাদিত হবে।
কেরেলা থেকে সংগৃহিত নারকেল চারা হাইব্রিডের বলে এগুলোতে থেকে আর চারা হবে না। দ্রুত গাছের বংশবৃদ্ধির জন্যই ভিয়েতনামের চারা বেছে নেয়া হয়েছে। এই নারকেলের পানি অত্যাধিক মিষ্টি ও সুস্বাদু।
প্রশ্ন উঠেছে সরকারিভাবে ক্রয়মূল্যে সাধারণের কাছে বিক্রি করা হলেও বেসরকারি আমদানিকারকরা তা করবেন না। তারা ইচ্ছা মতো দাম নির্ধারণ করবেন। আগ্রহ থাকায় মানুষ বাড়তি দামেই কিনে নেবেন। ব্যবসায়ীরা সরকারকে উৎসাহী করার মাধ্যমে নিজেরা মুনাফা লুটার পথ করছে। নিজেরা বিনিয়োগ না করে তারা আমদানিতে সরকারকে উৎসাহিত করছে। সরকারিভাবে সরবরাহ করার পর সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়বে। তখন তারা চড়াদামে একচেটিয়া ব্যবসা করবেন।
সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য নারকেলের চারা অত্যন্ত উপযোগী। অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক। সীমিত সংখ্যক চারা থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই প্রচুর নারকেল হবে। আগ্রহীরা সেই নারকেল থেকে চারা উঠাতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অধিক দামে কিনতে হবে না। সরকার চাচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নারকেল গাছের ব্যাপক আবাদ গড়ে তোলা।