সাকিব আল হাসানরা গুয়াহাটির পথে দেশ ছাড়ার পর তামিম ইকবাল মুখ খুললেন। রেকর্ডেড ভিডিওর মাধ্যমে নিজের অবস্থান যেমন স্পষ্ট করলেন, তেমনি গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরতে গিয়ে অবশ্য কারো নামও মুখে নিলেন না। তা না নিলেও বিশ্বকাপ দল থেকে তার বাদ পড়ার নেপথ্যের লোকটি যে খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, সেটিও অস্পষ্ট থাকেনি।
তামিম বিস্তারিত বর্ণনা করেন তার ভিডিও বার্তায়। যেখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ মহলের একজন আমাকে ফোন দেন।
যিনি কিনা জাতীয় দলের সঙ্গে ভীষণ সম্পৃক্ত।’
এটুকু বলার পর কারোরই বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে ওই লোকটি পাপন ছাড়া আর কেউ নন। বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথোপকথনের পুরো বিষয়টি এভাবে তুলে ধরে তামিম বলেন, “উনি আমাকে ফোন করে হঠাৎ বললেন যে, ‘তুমি তো বিশ্বকাপে যাবে। তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে।
এক কাজ করো, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচটি তুমি খেলো না।’ আমি বললাম, ‘ভাই, এটি তো আরো ১২-১৩ দিন পরের কথা। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকব। তাহলে কী কারণে খেলব না?’ তখন উনি বললেন, ‘আচ্ছা, তুমি যদি খেলো, আমরা একটি পরিকল্পনা করছি, চলছে আলোচনাও। তোমাকে আমরা নিচে ব্যাটিং করাব।
তামিম বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে গত কিছুদিন আমি কোন মানসিকতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। একটি ভালো ইনিংস খেলে আমি খুশিই ছিলাম। হঠাৎ করে ওই ধরনের কথা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না।’
নাজমুলের সঙ্গে তামিমের পরের কথাবার্তাগুলোও এই ওপেনারের জন্য প্রীতিকর ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ধরে আমি একই পজিশনে ব্যাটিং করে এসেছি। আমি জীবনে তিন-চারে কোনো দিন ব্যাটিংই করিনি। যদি এ রকম হতো যে তিনে বা চারে ব্যাটিং করি, তারপর যদি ওপর-নিচে করা হয়, সে ক্ষেত্রেই কেবল তা মানিয়ে নেওয়ার মতো হতো। আমার আসলে ওই জায়গায় ব্যাটিং করার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে আমি ভালোভাবে নিইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ বিষয়টি আমি পছন্দ করিনি। আমার কাছে মনে হচ্ছিল, আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে। তখনই আমি বলে দিই, এ রকম নোংরামি চলতে থাকলে আমাকে দলে না রাখাই ভালো।’