জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছেন গ্রাম পুলিশ মো. এসকেন আলী।
তিনি লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ এবং বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী মন্ডলের ছেলে।
এসকেন আলী গত বুধবার (২২ নভেম্বর) লালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা।
এসকেন আলী জানান, যেকোনো ভোট শুরু হলেই আমার খুব আনন্দ লাগে। অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছে করে। এর আগে আমি দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে ভোটে অংশ নিয়েছি। যেখানে একবার তৃতীয় হয়েছি। একবার উপজেলা পরিষদের ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করার জন্য সকলের দোয়া চেয়ে পোস্টার লাগিয়েছিলাম। কিন্তু সে বছর আর্থিক সংকটের জন্য ভোট করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, এবছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট করবো, যার পরিকল্পনা করেছিলাম ২০ বছর আগে। তাই বাড়ির পাশের ১ কাঠা জমি আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করে মনোনয়ন ফরম তুলে ভোটের কাজ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ভোট সংক্রান্ত কাজে আমার ৩৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জনগণ আপনাকে কেন ভোট দেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২৭ বছর ধরে গ্রাম পুলিশের চাকরি করি। আমি অনেক মানুষের উপকার করেছি বিনা স্বার্থে। তাই একটা ভোট চাইলে তারা অবশ্যই দেবে।
তিনি বলেন, এই আসনে মোট ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। সেখানকার গ্রাম পুলিশদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।সবাই ইনশাল্লাহ আমার জন্য কাজ করবেন।
লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ফোন দিয়ে আমার পরিষদের গ্রাম পুলিশ এসকেন আলীর মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের খবরটি জানিয়েছেন। ঘটনাটি শুনে আমি অবাক হয়েছি।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, গতকাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক গ্রাম পুলিশ মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন। সরকারি (গ্রাম পুলিশ) চাকরি করলে নির্বাচনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছায়ের সময় রিটার্নিং অফিসার বিষয়গুলো দেখবেন। আইনবিধি অনুযায়ী ত্রুটিযুক্ত হলে সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে।