বরিশালে ছাত্রলীগে-ছাত্রলীগে যুদ্ধ চলছে!

খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল  রেজা হত্যা মামলা থেকে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের নাম প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে সাদিক আব্দুলাহ অনুসারি রফিকুল ইসলাম খোকন ওরফে মামা খোকনের ক্যাডার বাহিনী। এ সময়ে সাংবাদিকদেরও ধাওয়া করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সাদিক আব্দুলাহ অনুসারিদের হামলার সময় পুলিশ অদূরে দাঁড়িয়ে ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সরকারী বরিশাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুনকে রড ও শর্টগানের বার্ট দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। মামুন বর্তমানে শেবাচিমে চিকিত্সাধীন রয়েছে।

এদিকে হামলার ঘটনার পর ছাত্রলীগের একটি পক্ষকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বরিশাল নগরীতে প্রকাশ্যে মহরা দিতে দেখা গেছে।

হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনের অভিযোগ, সম্প্রতি পলিটেকনিক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজাকে কুপিয়ে হত্যা করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহম্মেদ ও তার সহযোগিরা। এই ঘটনায় রাজিব আহম্মেদকে বাদ দিয়ে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতি জসিম উদ্দিনকে আসামী করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ ও জসিম উদ্দিনের নাম মামলা থেকে প্রত্যাহারের দাবীতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে বরিশাল কলেজ ছাত্রলীগ।

আল মামুন অভিযোগ করেন, মানববন্ধন চলাকালে যুবলীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর ফুফাত ভাইয়ের ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুলাহ’র অনুসারী যুবলীগ নেতা এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন ওরফে মামা খোকন, নিরব হোসেন টিটুল, ছাত্রলীগ ক্যাডার রইচ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহম্মেদসহ ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ মোটর সাইকেল বহর নিয়ে এসে মানববন্ধনে হামলা চালায়।

এসময় জিলা স্কুল মোড় সংলগ্ন ব্রাউন কম্পাউন্ড সড়কে আলম মামুনকে আটকে শর্ট গানের বাট এবং রড দিয়ে উপর্জপুরি আঘাত করে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে বলে অভিযোগ মামুনের। এছাড়া হামলায় আরো ২/১ জন আহত হলেও তেমন গুরুতর না হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি কিংবা চিকিত্সার প্রয়োজন হয়নি।

ঘটনার পরে মামা খোকনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ প্রকাশে স্বশস্ত্র অবস্থায় নগরীতে মোটর সাইকেলে শোডাউন দেয়। এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আতাউর রহমান বলেন, মানববন্ধনের আয়োজন করা নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts