একাধিক পদ আঁকড়ে আছেন বিএনপির অনেক নেতা

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা একাধিক পদ আঁকড়ে আছেন। আবার যোগ্যতা থাকার পরও পদবঞ্চিত হয়ে আছেন অনেকে। মূল দল ও সহযোগী সংগঠনের পদ বণ্টনে এমন বৈষম্য দলটিতে নতুন নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দলের অনেক স্তরেই রয়েছে ক্ষোভ।

ছাত্রদলের শতাধিক সাবেক নেতা বর্তমানে কোনো পর্যায়ের পদে নেই। তৃণমূলের অনেক নেতার অবস্থাও তাই। দলের জন্য নিবেদিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার পরও পদবঞ্চিত হওয়ায় এদের অনেকেই হতাশায় ভুগছেন।

২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি গ্রহণ করা হয়। সেসময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, একজন নেতা দলের মধ্যে একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। অথচ বাস্তবে এটি পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় অনেকে যোগ্যতা থাকার পরও পদের ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১৫নং অনুচ্ছেদে ‘বিশেষ বিধান: এক নেতা এক পদ’ শিরোনামে বলা আছে-

(ক) কোনো ব্যক্তি একই সঙ্গে দলের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন কিংবা ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।

(খ) দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি কিংবা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের কোনো সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো কর্মকর্তা এবং দলের অঙ্গ দল কিংবা সহযোগী সংগঠনের কোনো সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক দলের কোনো পর্যায়ের কমিটিতে কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে পারবেন না। তবে অনিবার্য কারণে দলের চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে ব্যতিক্রম অনুমোদন করতে পারবেন।

জানা গেছে, গঠণতন্ত্র অনুযায়ী নীতিগত কারণে শুরুর দিকে বিএনপির অনেক নেতা একাধিক পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপরও দীর্ঘ ৮ বছরেও দলটির মধ্যে ‘এক নেতা এক পদ’ এই নীতি পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ অর্ধশতাধিক নেতা এখনো একাধিক পদে রয়েছেন। এদের কেউ কেউ আবার তিন থেকে চারটি পদে বহাল আছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে কোনো মূল্যে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে ২০১৬ সালে দলীয় ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর দল পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদেরকে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। যার প্রক্ষিতে নেতাদের অনেকেই জেলা বা উপজেলার শীর্ষ পদ ছেড়ে দেন। তবে, শীর্ষ পদ ছাড়লেও তৃণমূলের পদ ধরে রাখতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন অনেকে। এদের কেউ কেউ নিজে একাধিক পদ ছেড়ে দিয়ে পরিবারের সদস্য বা বিশ্বস্ত অনুগতদের তৃণমূলের বিভিন্ন শীর্ষ পদে বসিয়েছেন।

এ ব্যাপরে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দুরকম মন্তব্য পাওয়া গেছে। এদের কেউ কেউ বলেছেন, দলের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব ‘এক নেতা এক পদ’ বাস্তবায়ন করা উচিত। তাহলেই তরুণ এবং নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটার পাশাপাশি দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

আবার বর্তমানে একাধিক পদে আছেন, এমন একাধিক নেতা বলছেন, দলের প্রয়োজনে তাদেরকে যোগ্য মনে করার কারণে একাধিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা যখন চাইবেন, তখনই তারা পছন্দসই পদ রেখে বাকি পদ ছেড়ে দেবেন।

একজনের একাধিক পদ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এটা সত্যি যে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি খুব একটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। যদিও শুরুর দিকে অনেক নেতাই একাধিক পদ ছেড়েছেন এবং অনেকে ছাড়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন।

এসব বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে দুদু বলেন, তবে এখন যেহেতু আন্দোলনে কিছুটা শিথিলতা আছে, তাই নতুন করে বিষয়টি নিয়ে দলের নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে মনে করি।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দলের একাধিক পদ ছেড়েছেন যেসব নেতারা, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় গঠনতন্ত্রের আলোকে ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মহাসচিব পদ রেখে কৃষক দলের সভাপতি এবং ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি পদ ছেড়ে দেন।

মহাসচিবেক অনুসরণ করে দলের আরও কয়েকজন নেতা এক পদ রেখে বাকি পদ ছেড়ে দেন। একই সময়ে বিএনপি ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়েন আমানউল্লাহ আমান। বর্তমানে তিনি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক। একইভাবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী জেলার সভাপতির পদ এবং মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশাল মহানগরীর সভাপতির পদ ছাড়েন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর যুবদলের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদকের পদ ছাড়েন অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। ঢাকা বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কেন্দ্রের পদ ছেড়ে দেন। মোহাম্মদ শাহজাহান নোয়াখালী জেলা সভাপতি, আহমেদ আযম খান টাঙ্গাইলের সভাপতি, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জের সভাপতি, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেন।

দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর পছন্দমতো পদ রেখে বাকি পদ ছাড়তে একাধিক নেতাকে দলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই চিঠি জবাব দিলেও পদ ছাড়েননি। আবার সিনিয়র অনেকে পদ ছেড়েছেন। পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত নানাবিধ কারণে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

তবে, সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রজন্মের কয়েকজন একাধিক পদ ছাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন আমিনুল হক। ২০২১ সালের ৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেন। একইভাবে ঢাকা মহানগর যুবদলের পদ ছাড়েন দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। যদিও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমিটিতে থাকা অনেকে এখনো একাধিক পদে বহাল রয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে যারা এখনো একাধিক পদে রয়েছেন- বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বর্তমানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যের পাশাপাশি নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক। আরেকজন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এখনও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান। এছাড়াও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলের স্থায়ী কমিটির পাশাপাশি আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও আছেন। তবে স্থায়ী কমিটির পাশাপাশি তাদের অন্য দায়িত্বগুলো গঠনতন্ত্রের বিধানের পরিপন্থি নয় বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

দলের দুজন ভাইস চেয়ারম্যান একাধিক পদে আছেন। এর মধ্যে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক। অন্য ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি সমর্থিত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা। আবার বিএনপি চেয়ারপারসনের সাত উপদেষ্টা জেলা বা মহানগরের পদে রয়েছেন। এরা হলেন আব্দুস সালাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক, আমানউল্লাহ আমান ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, হাবিবুর রহমান হাবিব পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি, আবুল খায়ের ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং বিজন কান্তি সরকার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, কায়সার কামাল আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব, শামা ওবায়েদ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য, হাসান জাফির তুহিন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবার কৃষক দলের সভাপতি, ইশরাক হোসেন কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কেন্দ্রীয় সদস্য, খন্দকার আবু আশফাক ঢাকা জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

এ ছাড়াও দুই থেকে তিন থেকে চারটি পদে থাকা বিএনপি নেতারা হলেন- নিপুণ রায় চৌধুরী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সভাপতি এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব। শাম্মী আক্তার বিএনপির সহ-স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, মিডিয়া সেলের সদস্য এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য। ব্যারিস্টার মীর হেলাল বিএনপির নির্বাহী কমিটি, মিডিয়া সেল এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য।

এসব নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির বড় শক্তি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতারা মূল্যায়নের অপেক্ষায় আছেন।জানা গেছে, অতীতে রাজপথের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় যেসব নেতা পদবঞ্চিত ও অবমূল্যায়িত হয়েছেন, তারা আগামীতে তাদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন চান। এই বিষয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতারা দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এসব সাবেক ছাত্রনেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হলে- আগামীতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কমিটিতে পদ পেয়ে আবারও সক্রিয়ভাবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে চান তারা। এসব সাবেক ছাত্রদলের মূল্যায়ন প্রত্যাশীদের অভিযোগ, ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা নানাভাবে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে, এদের অনেককেই দলের পক্ষ থেকে যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি। যার কারণে দলীয় পদ-পরিচয় না থাকায় এদের একটা অংশ এখন অনেকটা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।

অতীতে রাজপথের বিভিন্ন আন্দোলন- সংগ্রামে সক্রিয় ছাত্র নেতাদের কাজের মূল্যায়ন না হওয়া ও প্রতিদান পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্য রয়েছেন- গোলাম সারোয়ার, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, আবুল কালাম আজাদ, রফিক হাওলাদার, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ মুন্না, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ রুবেল, আহসান উদ্দিন খান শিপন, আব্দুল হালিম খোকন, জাকির হোসেন মিজান, আবু তাহের পাটোয়ারী, পারভেজ আল বাকি, রফিকুল ইসলাম রফিক, শহীদুল্লাহ ইমরান, মো. এজমল হোসেন পাইলট, ইখতিয়ার রহমান কবির, মামুন বিল্লাহ, জয়দেব জয়, আসাদুজ্জামান আসাদ।

এছাড়াও রয়েছেন- বায়েজিদ আরেফিন, মো. শরীফুল হাসান আরিফ, দবির উদ্দিন তুষার, গোলাম আজম সৈকত, আবুল বাসার সিদ্দিকী, আব্দুল মালেক, আজিজুল হক পাটোয়ারী আজিম, তারেক উজ জামান তারেক, শোয়াইব খন্দকার, আশরাফুর রহমান বাবু, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, জাকির হোসেন খান, মিজানুর রহমান সোহাগ, সামসুল আলম রানা, এবিএম মহসিন বিশ্বাস, এসএম রাসেল, মাহবুব সিকদার, আনোয়ার জাহিদ, কাজী মেজবাহুল আলম, সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স, হাফিজুর রহমান শরিফ, সাইদুর রহমান রয়েল, কোয়েল হোসেন, রকিবুল হাসান হাওলাদার, শফিউল আজম, শহিদুল ইসলাম, মাসুদ সরকার, খোরশেদ আলম, খন্দকার রিয়াজ, মাজেদুল ইসলাম মাসুম, রবিউল হাসান আরিফ, জিল্লুর রহমান কাজল, আব্দুল ওয়াহাব, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, মির্জা ইয়াসিন আলী, রাশিদুল ইসলাম রিপন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, আবুল হাসান, আনিসুর রহমান রানাসহ অনেকে।

 

Print Friendly

Related Posts