বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ৯০-এর দশকের সেক্স বম্ব মমতা কুলকার্নি বর্তমানে দেশের বৃহত্তম মাদক পাচার চক্রের প্রধান। পঞ্জাবের ড্রাগ সমস্যা নিয়ে তৈরি ছবি ‘উড়তা পঞ্জাব’ মুক্তি পাওয়ার পরের দিনই এই তথ্য সামনে এলো। শুধু মমতা কুলকার্নি নন, বলিউডের আরও বেশ কয়েকজন এ ধরনের মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
দেশের বৃহত্তম এই মাদক চক্রের জাল মাস দুয়েক আগেই গুটিয়ে এনেছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ১০ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। শিগগিরই মমতা কুলকার্নির নামে রেড এলার্ট জারি করবে ইন্টারপোল। মমতা কুলকার্নির স্বামী ভিকি গোস্বামীও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। মমতা ও ভিকিই এই ড্রাগ চক্রের মাস্টারমাইন্ড বলে জানিয়েছেন ভারতের থানের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। গত ৮ জানুয়ারি কেনিয়ায় আন্তর্জাতিক ড্রাগ মাফিয়া আবদুল্লার সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা। ভারতে কী ভাবে মাদক চালান সম্ভব, তা নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে।
মার্কিন ড্রাগ এনফোর্সমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতার স্বামী ভিকির এক এজেন্টের কাছ থেকে দিন কয়েক আগে ১০০ কিলো এফেড্রাইন উদ্ধার করে পুলিশ।
৯০-এর দশকে আমির খান, অক্ষয় কুমারদের মতো প্রথম সারির নায়কদের বিপরীতে কাজ করেছিলেন মমতা। সেই সময় তার যৌন আবেদন ঝড় তুলত রূপোলি পর্দায়। আজ সেই নায়িকাই মাদক মাফিয়া হিসেবে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়।