সমবায় বিধি ভেঙে ঋণ খেলাপি রতন চন্দ্র বারবার কালবের পরিচালক হচ্ছেন

সমবায় আইন, বিধি ও কালবের উপ-আইন লংঘন করে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) এর বোর্ডে পরিচালক পদে পরপর দুই বার রয়েছেন রতন চন্দ্র রায়। ঋণ খেলাপী হওয়া সত্ত্বেও পরিচালক পদে বহাল তবিয়তে থাকায় কালবের ডেলিগেটদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ডেলিগেটদের অভিযোগ, কালবের সদস্য সমিতি কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:এর ডেলিগেট হিসেবে রতন চন্দ্র রায় কালবে পরিচালক পদে আছেন। তিনি একদিকে ব্যক্তিগতভাবে কালবে ঋণ খেলাপী, অন্যদিকে তার প্রতিনিধিত্বকারি সমিতি কালবে ঋণ খেলাপী। বিধিমালা ও কালবের উপ-আইন অনুযায়ী কোন ঋণ খেলাপী সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এবং ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকতে পারবেনা। কিন্ত রতন চন্দ্র রায় আইন অমান্য করে কালবের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আছেন। এবিষয়ে সমবায় অধিদপ্তর ও কালব কর্তৃপক্ষ রহস্যজনকভাবে নিরব।

এবিষয়ে কালব-এর ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য বলেন, রতন চন্দ্র রায় দীর্ঘ দিন সমিতিতে ঋণ খেলাপী। কালবের বিগত বোর্ডে শূন্যপদে যখন তাকে পরিচালক পদে কো-অপ্ট করা হয় তখনও তিনি সমিতিতে ঋণ খেলাপী ছিলেন। তথ্য গোপন করে পরিচালক পদে কো-অপ্ট হন। আবার ১১ নভেম্বর-২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত কালবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে যখন পরিচালক পদে অংশগ্রহন করেন তখনও তিনি ঋণ খেলাপি ছিলেন। তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এখন পরিচালক পদে আছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সমিতিতে ঋণ খেলাপী।

অন্যদিকে কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এখনো কালবে ঋণ খেলাপী। তবে কালবের জেনারেল ম্যানেজার নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছয় মাসের জন্যে ঋণ রিসিডিউল করেছেন। বিধিমালা ও আইনের সুস্পষ্ট লংঘন।

অবৈধভাবে পরিচালক পদে দুই বার থাকা রতন চন্দ্র রায় যে কার্যভাতা,যাতায়াত ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং ফেরতযোগ্য। অবৈধ পরিচালক রতন চন্দ্র রায় কালবের খরচে কানাডা ও নেপালে সেমিনার ফোরামে অংশগ্রহন করেছেন। অন্যদিকে আবার অবৈধ পরিচালক রতন চন্দ্র রায় কে কালবের মালিকানাধিন রিসোর্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বানানো হয়েছে।

কালবের ক অঞ্চলের একজন পরিচালকের সমিতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে বোর্ড মিটিং এ অংশ নিতে আসার পরও তাকে মিটিং এ বসতে দেয়া হয়নি। তাকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য একজনকে কো-অপ্ট করা হয়। তাহলে দুইবার রতন চন্দ্র রায় কে অবৈধভাবে কেন বোর্ডে রাখা হয়েছে-এটাই কালবের ডেলিগেটদের প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, সমবায় আইন, বিধি, কালবের উপ-আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশে লংঘন করে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনও কালবে অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: দৈনিক পাঞ্জেরি

মুকুল/ঢাকা

Print Friendly

Related Posts