মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন ও চায়না ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ -এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর মালিকানাধীন মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (এমআইইজেড) লিঃ এবং চায়না ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ কোং লিঃ-এর মধ্যে একটি ভূমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (এমআইইজেড) লিঃ-এর পরিচালক তানভীর মোস্তফা এবং চায়না ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ কোং লিঃ ম্যানেজিং ডিরেক্টর লি ইয়ংজিয়াং।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। আরও উপস্থিত ছিলেন চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ডিরেক্টর অব পাবলিসিটি অফিস জ্যাং জিয়াওলিয়াং।

চায়না ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ কোং লিঃ হচ্ছে চীন-এর ইউনান প্রদেশের চায়না ইউনান লিটুও পাইপ পাইল গ্রুপ-এর একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যা চীনের অন্যতম প্রধান ফাউন্ডেশন কনস্ট্রাকশন ও প্রিফ্যাব্রিকেটেড পাইপ পাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

চুক্তি অনুযায়ী চায়না ইনফ্রাস্ট্রাকচার কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ কোং লিঃ, এমআইইজেড লিঃ-এ একটি প্রিফ্যাব্রিকেটেড পাইপ পাইল-এর ফ্যাক্টরি স্থাপন করবে। কোম্পানি-টি বাংলাদেশে প্রায় ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। বিনিয়োগের অংশ হিসেবে রয়েছে এমআইইজেড লিঃ-এ প্রায় ৩ একর জায়গা জুড়ে ফ্যাক্টরি, ইকুইপমেন্ট এরিয়া, অফিস, সাইলো এবং ওয়্যারহাউজ স্থাপন।

সুউচ্চ আবাসন ও ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি হাইওয়ে, রেলওয়ে ও বন্দর সহ যেকোন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টের পাইলিং-এর ক্ষেত্রে প্রিফ্যাব্রিকেটেড পাইপ পাইল-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়াও বায়ুবিদ্যুৎ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ এবং সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের পাইল ফাউন্ডেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্যও এর ব্যবহার রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি সমতল ও পলিমাটির হওয়ায় এর প্রয়োজনীয়তা তুলনামূলকভাবে বেশি। বর্তমানে কেবলমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই এর বাৎসরিক চাহিদা প্রায় ২ মিলিয়ন মিটার, যার একটি বড় অংশ আমদানিনির্ভর।

ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে অবস্থিত এমআইইজেড লিঃ-এ ফ্যাক্টরি-টি স্থাপিত হলে এই চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আমদানিনির্ভরতাও কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সেই সাথে প্রায় শতাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts