শুভ্রতা ছড়াচ্ছে ঢাকার কেরানীগঞ্জের সারিঘাটের সারি সারি কাশফুল। মুগ্ধ করছে পথচারীদের। ঢাকার খুব কাছেই আপনি খুঁজে পাবেন কাশবন। যেখানে গেলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। চারপাশে দিগন্ত বিস্তৃত কাশবন। টলটলে খালের পানি। ঠিক খালের ধার ঘেঁষেই অযত্নে বেড়ে উঠেছে প্রকৃতির অপার এই বিস্ময়কর কাশফুল।
কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের আইন্তা সারিঘাটে গেলেই মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যে কেউ। ঢাকার আশেপাশে বেড়ানোর জন্য এখন ভ্রমণের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে এটি। শরতের বিকেলে অনেকেই সারি ঘাটে আসেন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য। আর ছুটির দিনে এখানে ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নামে। সেখানে গেলে অনেক পর্যটকই স্বচ্ছ পানির খালে নেমে গোসল সেরে নেন।
এখানে ভ্রমণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো কাশবন। শান্ত পরিবেশে প্রকৃতির কোলে কিছুটা সময় কাটাতে ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় জমায় সারি ঘাটে।
রোববার (২২সেপ্টেম্বর ) বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরতের বিকেলে সারি ঘাটে হাজার হাজার দর্শনাথী এসে ভিড় করছে। সারি সারি কাশফুল দেখতে এসেছেন অসংখ্য দর্শনার্থী। কাশফুলের একটু ছোঁয়া নিতেই যেন এসব দর্শনার্থীর এখানে আসা।
সারিঘাটে ঘুরতে আসা আনিসা আরা সাদিহা বলেন, শরতে কাশফুল দূর থেকেই আকর্ষিত করে তাই বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। খুব ভালো লেগেছে এখানে এসে। শেষ বিকেলের আলো আর কাশফুল সত্যি মন কেড়ে নিয়েছে।
সারিঘাটে বেড়াতে আসা বিউটি আক্তার বলেন, দিনের ক্লান্তি ঘোচাতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে সারি ঘাটের কাশফুল দেখতে এসেছি। জায়গাটা খুবই সুন্দর, প্রকৃতি আকাশ মনে হয় একসাথে মিশে গেছে। পাশ দিয়েই ছুটে চলেছে ছোট্ট খাল, যা কাশবনের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
সারিঘাটে আসা কবির খান বলেন, সারিঘাটের কাশফুল খুবই নান্দনিক। নীল আকাশ আর কাশফুলের শুভ্রতা এ যেন একে অপরকে আলিঙ্গন করছে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকৃতিপ্রেমিরা একটু শান্তি ও প্রকৃতির পরশ পেতে ছুটে এসেছি। শরৎকাল রূপময় বাংলার সৌন্দর্য বহন করছে। সত্যি আমি এখানে আসে আপ্লুত।
সারিঘাটে আসা রানা মিয়া বলেন, সময়টাকে উপভোগ করার পাশিপাশি ক্যামেরাবন্দি করে রাখছি। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। শরতের ডাকে সাড়া দিতে সারি সারি কাশফুলের শুভ্রতা নিতে আমরা ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পেরে খুশি আমরা।