মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় রাজীব

গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজার মোড়ে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে বিআরটিসির যাত্রী রাজীবের ডান কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাথার সামনের ও পেছনের হাড় ভেঙে যায়। সোমবার রাতে তিনি মারা যান।

রাজীবের ছোট ভাই মেহেদী হাসান জানান, ঢাকা থেকে মঙ্গলবার রাত ৩টায় লাশ দাসপাড়ায় নানাবাড়িতে আনা হলে এলাকাবাসী ভিড় শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হাসান, বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহামুদ জামানসহ এলাকাবাসী জানাজায় অংশ নেন।

মেহেদী বলেন, “বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে ভাই অনেক কষ্ট করে নিজের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে আমাদের দুই ভাইকে পড়ালেখা করাতেন। ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল, যত কষ্টই হোক না কেন, আমাদের দুই ভাইকে মানুষ করবেন। কিন্তু প্রাণ কেড়ে নিয়ে তার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিল ঘাতক বাস। আমাদের এখন কী হবে জানি না। তবে ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”

দুই ভাইকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই সমাজসেবা ও ত্রাণ তহবিল থেকে রাজীবের পরিবারকে ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন চিফ হুইপ ফিরোজ।তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার যা যা করা দরকার আমি তাই করব।”

Print Friendly

Related Posts