ভূমধ্যসাগরে শরীয়তপুরের জুম্মন উত্তম সুমনসহ কয়েকজন নিখোঁজ

ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালী প্রতিনিধি : স্বপ্নের দেশ ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবিতে ইতালি প্রবাসী এক বাংলাদেশির চাচাতো ভাই নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জুম্মন হাওলাদার ।  সন্ধান চেয়ে চাচাতো মো: সিদ্দিক হাওলাদার  এখন বেদনায় বিমুঢ় হয়ে আছেন।

কোথায় গেলে কার কাছে গেলে সন্ধান পাবেন ছোট ভাইয়ের এ জবাব নেই তার কাছে। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ইউরোপের সোনার হরিণ ধরতে গিয়ে নিজেই এখন অজানা ঠিকানায়। কেউ জানেনা বেঁচে আছে না মরে গেছে। ইউরোপে আসার রঙিন স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে নিরুদ্দেশ এখন জুম্মন ও উত্তম দাসসহ আরও অনেকে।

এ ব্যাপারে নিখোঁজ জুম্মন চাচাতো ভাই ইতালি প্রবাসী সিদ্দিক বলেন- তার ধারণা, ওই নৌকায় ৮৪জন যাত্রী ছিল। একই এলাকা নড়িয়ার ছয়-সাতজনের মধ্যে দুইজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। একজন মিন্টু অন্যজন শিশির মকদম। তারা দুজন বর্তমান তিউনিসিয়া অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা দিলে তিউনিসিয়া এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন উত্তমসহ অন্যান্য অভিবাসীরা। বর্তমান তার পরিচিত তিনজন পুরোপুরি নিখোঁজ রয়েছে।

তাদের নাম যথাক্রমে উত্তম কুমার দাস বাবা গৌতম দাস, জুম্মন হাওলাদার বাবা হারুন হাওলাদার, অপরজনের নাম সুমন তার বাবার নাম জানা যায়নি। নিখোঁজ উত্তম কুমারের দেশের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ভুম খাড়া গ্রামে। একই এলাকার ৬/৭ জনের মধ্যে দুইজনের খোঁজ পাওয়া গেছে বাকীরা এখনও নিখোঁজ। মো: সিদ্দিক হাওলাদার  আরও জানান, সে অভিমান করে কাউকে কিছু না বলেই এ অনিশ্চয়তার পথ নিজে থেকে বেছে নিয়েছে। এর আগে তাকে একাধিকবার নিষেধ করেছি। এধরনের বিপজ্জনক পথে ইউরোপে আসা দরকার নেই। সে কথা না শুনে অভিমান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এদিকে জুম্মন পরিবার এখনো আশায়, সে জীবিত পরিবারের কাছে ফিরে আসবে।

উল্লেখ্য, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিসহ ৮৪ অভিবাসী ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকা ডুবলে ১৬জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অন্যরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এই ঘটনার পর থেকে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly

Related Posts