সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন রুমিন ফারহানা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক॥ একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার তারিখ ২০ মে, বাছাই ২১ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৮ মে ও ভোট ১৬ জুন।

সবকিছু ঠিক থাকলে একটি আসনে একক প্রার্থী থাকায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন শেষে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন রুমিন ফারহানা। ইতোমধ্যে ইসি সচিব বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি দেখেন, সব কাগজ ঠিক আছে, তবে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন।

এতদিন নির্বাচিতরা শপথ না নেওয়ায় বিএনপির জন্য নির্ধারিত একটি নারী আসন ফাঁকা ছিল।

একাদশ সংসদে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছে বিএনপি। তাই নিয়মানুযায়ী একজন নারী সংসদ সদস্য পাবে বিএনপি। ফলে তফসিল ঘোষণার পর থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা নিয়ে চলছিল আলোচনা।

অনেক প্রতিযোগী থাকলেও নারী এমপির তালিকায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় রুমিন ফারহানা বলেন, দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ভিত্তিহীন মামলায় আজ কারাগারে। দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে বিশেষ করে ম্যাডামের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, জনগণ ও দলের পক্ষে কথা বলা- এটি যেন এমপি হয়ে করতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা রাজনীতিক অলি আহাদের মেয়ে।

চূড়ান্ত করার আগ পর্যন্ত মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়ে বিএনপি। দলের একটি অংশ রুমিনের পক্ষে, আরেকটি অংশ নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়ের পক্ষে অবস্থান নেন। এই অবস্থায় একটি অংশ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের পক্ষে সুপারিশ করেন।

Print Friendly

Related Posts