রিফাত শরীফ হত্যার প্রধান দুই আসামী আগে থেকেই অপরাধজগতে

ইফতেখার শাহীন, বরগুনা প্রতিনিধি: রিফাত শরীফ হত্যার প্রধান দুই আসামীই আগে থেকেই অপরাধজগতে। বরগুনা সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিমে বরগুনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে নয়ন বন্ডের (২৫) বাসা। নয়নের বাবা মৃত ছিদ্দিকুর রহমান। দুই ভাইয়ের মধ্যে নয়ন ছোট। নয়নের বড় ভাই মিরাজ দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ার কারণে মাকে নিয়েই ওই বাসায় বসবাস করছে নয়ন। নয়ন ছাত্রলীগের সমর্থক কিন্তু সক্রিয় কর্মী নয়। তার নামের সাথে কিভাবে বন্ড শব্দ যুক্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।

২০১৭ সালের ৫ মার্চ রাত ১১টার দিকে নয়ন বন্ডের বাসায় অভিযান চালায় বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় বিপুল পরিমাণ মাদক, দুটি দেশীয় অস্ত্র ও এক সহযোগীসহ নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসব মাদকের মধ্যে ছিল ৩০০ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ গ্রাম হেরোইন।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, নয়ন বন্ডের মাদক বাণিজ্যের কথা আমরা জানি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলার কথাও আমরা জেনেছি। এর আগে নয়ন ও তার সহযোগী জেল খেটেছে। জামিনে তারা বেরিয়ে যায়। রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডে জড়িত নয়নসহ সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রিফাত ফরাজী : রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডে অন্যতম অংশগ্রহণকারী খুনী রিফাত ফরাজী (২৩) বরগুনা সদর উপজেলার রায়েরতবক গ্রামের দুলাল ফরাজীর ছেলে। দুলাল ফরাজী সাবেক জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মরহুম লতিফ ফরাজীর ভাতিজা এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের ভায়রা।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে যুক্ত ছিলেন রিফাত ফরাজী। এ কারণে স্থানীয়দের কাছে একটি আতঙ্কের নাম রিফাত ফরাজী।

রিফাতের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের ওপর হামলা, মারধর রিফাতের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এসব কারণে কয়েকবার গ্রেফতার হলেও রহস্যজনক কারণে খুব স্বল্প সময়েই মুক্তি পান তিনি। ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলাম (২১) নামে এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে মারাত্মক যখম করেন রিফাত ফরাজী।

Print Friendly

Related Posts