কমবে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দাম বেশি এবং অসচেতনার কারণে দেশের বেশিরভাগ নারী ব্যবহার করেন না স্যানিটারি ন্যাপকিন। গ্রামীণ নারীরা এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে। ফলে দেশের অধিকাংশ নারী রয়েছে প্রজনন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তাদের কথা মাথায় রেখে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে পণ্যটির দাম কমানো বিষয়ক একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করে এ প্রস্তাব রাখেন।

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ নারীই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের বাইরে রয়েছে। গ্রামীণ পদ্ধতিতে যারা এখনো পুরনো কাপড় ব্যবহার করছেন। ফলে মাসিকে ন্যাকড়া ব্যবহারে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে।

গবেষণা সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে গ্রামীণ পদ্ধতির পরিবর্তে ন্যাপকিন ব্যবহারের ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে কমাতে হবে দামও। বাংলাদেশে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম ভারতের চেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে যেসব পরিবারের নারীর সংখ্যা বেশি, তারা এই অধিক দামের জন্য ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ন্যাপকিন ব্যবহারের অনুৎসাহিত হন। তাই ন্যাপকিনের দাম কমিয়ে আনার দাবি তাদের দীর্ঘদিনের।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট প্রস্তাবনায় বৃহস্পতিবার বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার শিল্পের একটি কাঁচামাল টেক্সটাইল ব্যাক শিট অথবা নন-ওভেন এয়ার থ্রো বোন্ডেন (এডিল) আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করছি।

অর্থমন্ত্রীর এই প্রস্তাব গৃহীত হলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদন ব্যয় কমে যাবে। ফলে দামও কিছুটা কমবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তব্য পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

Print Friendly

Related Posts