কৃষিজমি ও বসতবাড়িতে শিল্পকারখানা না করার নির্দেশ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥  কৃষি জমি ও বসতবাড়ি এলাকায় কোনো ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ব্যবসা বা শিল্পকারখানা করতে হলে শিল্প এলাকায় করতে হবে। বাড়ির পাশের ধানের জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করা যাবে না। শিল্প এলাকায় কারখানা স্থাপন করলে গ্যাস, রাস্তা, ব্যাংকসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান জানান, শুধু মেডিকেল বর্জ্যই নয়, সব ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাস, নৌ, বিমানসহ যেকোনো স্টেশনের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এ কাজে যেসব সংস্থা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদেরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে হবে। কচুরিপানা মুক্ত করে ড্রেজিং করতে হবে।

সভায় ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ নির্মাণ প্রকল্পের বিদেশ সফরের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব ছিল সাড়ে ৪ কোটি টাকা । পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সদস্য সেটি কমিয়ে ৭০ লাখ টাকা করেছে। সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই বিদেশ সফরের ব্যয় কমানো হচ্ছে।

সভায় মৌজা ও প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিংয়ের জন্য একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গ্রামে যত মামলা, হাঙ্গামা, খুন-খারাবি তার বেশিরভাগই হয় জমিকেন্দ্রিক। ডিজিটাল ভূমি জোনিং হলে এই সমস্যা দূর হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের উৎপাতও কমে যাবে। তাছাড়া জোনিং হলে জমির চরিত্র কী তা সহজেই জানা যাবে। জমি খাস, অর্পিত, আবাদি না কি জলাভূমি তার সবকিছু সহজেই জানা যাবে ভূমি জোনিংয়ের মাধ্যমে।

এই প্রকল্পের সব ডকুমেন্ট বাংলায় তৈরি করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। ডিজিটাল ভূমি জোনিংয়ের সময় বাংলায় সব তথ্য নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ভৈরব নদ পুনঃখনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

এছাড়া নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে খাল পুনঃখনন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

Print Friendly

Related Posts