জ.ই বুলবুল, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: কক্সবাজারের হোটেল সিগ্যালে তিন দিন ব্যাপি হোমিওপ্যাথি বোর্ডের সহায়তায় ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ‘ন্যাশনাল হোমিওপ্যাথিক কংগ্রেস ২০১৮’ অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, এম.পি। গত বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ্যে বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না। নির্বাচনে আসুন। আপনারা বলেন ২০১৪ সালে আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছি। আপনারা আসেনি বলেই তো আমরা মাঠ ফাঁকা পেয়েছিলাম। আমরাও চাই না ফাঁকা মাঠে গোল দিতে। তাই আপনাদের আহ্বান জানাই- এবার নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাঠে খেলে গোল দিতে চাই। তবে ফাউল খেলবেন না। তাহলে জনগণ লাল কার্ড দেখাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপে অনেক নামি-দামি খেলোয়ার গোল মিস করলেও আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোল মিস করবেন না ।
মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে আমরা তা মেনে নেবো। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। নির্বাচনের সময় প্রশাসনসহ সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।কোনো মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায়ও কাজ হবে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় হোমিপ্যাথি চিকিৎসকদের বেতন ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী মাসের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে আপনাদের বেতন শতভাগে উন্নীত করা হবে। এজন্য আগামী নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। উপস্থিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা হাত তুলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমর্থন জানান।
ডা.মো. ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাইমন সারোয়ার কমল এমপি, ঢাকা মহানগর(দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, রেজিস্ট্রার ডা. জাহাঙ্গীর আলম, বোর্ড সদস্য আলহাজ ডা. এম.এন ইসলাম, ডা. কায়েম উদ্দিন, ডা. এস.এম মিল্লাত হোসেন, মহাসচিব ডা. ফারুক আহম্মেদ মজুমদার সহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। কংগ্রেসে প্রায় দুই সহস্রাধিক চিকিসৎক ও তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এক মিলন মেলায় কক্সবাজার অঙ্গন মুখরিত হয়।