বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে প্রাণ হারানো ১২ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষকারীকে সম্মাননা জানাবে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস উপলক্ষে আগামী শুক্রবার এ সম্মানো জানানো হবে।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সাল থেকে শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাণ হারানো শান্তিরক্ষাকারীদের স্মরণে এদিন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন জাতিসংঘ মহাসিচব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, এদিন ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাণ হারানো ১১৯ জন সামরিক, পুলিশ ও বেসামরিক শান্তিরক্ষাকারীদের মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশেল্ড মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা ওই সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন।
১২ জন বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন- এসএনকে অর্জন হাওলাদার, এসএনকে মো. রিপুল মিয়া, এসএনকে মোহাম্মাদ জামাল উদ্দিন, ডব্লিউও মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ, এসএনকে মোহাম্মাদ রায়হান আলী, এলসিপিএল মোহাম্মাদ আক্তার হোসেন, এসএনকে মোহাম্মাদ রাশেদুজ্জামান, এসএনকে মো. জানে আলম, এসএনকে মো. মতিয়ার রহমান, এসএনকে মো. মঞ্জুর আলী, এলসিপিএল মো. মিজানুর রহমান এবং এলসিডিআর মো. আশরাফ সিদ্দিকী।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মী পাঠানোয় অবদান রাখায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর ৬ হাজার ৬০০ জন সদস্য বর্তমানে ৯টি মিশনে- আ্যাবেই, সিএআর, ডিআর কঙ্গে, হাইতি, লেবানন, মালি, সুদান, দক্ষিণ সুদান এবং পশ্চিম সাহারায় শান্তিরক্ষাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এক ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের প্রথম শান্তিরক্ষা মিশনে থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত কাজ করা প্রায় ১০ লক্ষাধিক নারী পুরুষ শান্তিরক্ষাকারীদের সম্মান প্রদান করা হবে।
প্রায় ৩ হাজার ৮০০ ব্যক্তি যারা এ যাবৎ শান্তি রক্ষা মিশন কাজ করতে গিয়ে জীবন দান করে গেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মদানকারী সকল নারী পুরুষকে শ্রদ্ধা জানতে ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস ঘোষণা করা হয়।
১৯৪৮ সালের ২৯ মে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার মিশন শুরুর প্রথম এ দিনকেই ঘোষণা করা হয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস।